টিডিএন বাংলা ডেস্ক: প্রথমে ইউএপিএ ধারায় সম্পাদক’কে জেলবন্দি। এবার কাশ্মীরের স্বাধীন নিউজ পোর্টালের ওয়েবসাইট বন্ধ করল কেন্দ্রীয় সরকার। ‘দ্য কাশ্মীরওয়ালা’র সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলিও ব্লক করেছে কেন্দ্রের ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক। তবে ঠিক কি কারণে ‘সেন্সরশিপ’ সে বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি বলে অভিযোগ। ‘সেন্সরশিপ’ লাগানোর চারদিন অতিক্রান্ত হলেও মন্ত্রকের তরফে এখনও কোনো সরকারি আদেশ বা বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি বলে দাবি পোর্টালটির। এদিকে সংবাদমাধ্যমের কন্ঠরোধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বিভিন্ন সংগঠন ও সাংবাদিকরা।
জানা গিয়েছে, গত ১৯ আগস্ট শ্রীনগর ভিত্তিক নামজাদা স্বাধীন নিউজ পোর্টাল ‘দ্য কাশ্মীরওয়ালা’র ওয়েবসাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলিকে ব্লক করে কেন্দ্রের ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক। এর আগে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের অভিযোগে (ইউএপিএ) ধারায় স্বাধীন নিউজ পোর্টালটির প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ফাহাদ শাহ’কে গ্রেফতার করে পুলিশ। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি জেলবন্দি রয়েছেন। জননিরাপত্তা (PSA) আইনে পোর্টালের আরও একজন ট্রেনি সাংবাদিক সাজাদ গুলকেও জেলবন্দি করে রাখা হয়েছে।
পোর্টালের অন্তর্বর্তী সম্পাদক যশরাজ শর্মা একটি বিবৃতিতে বলেছেন, যখন তাঁরা ওয়েবসাইট অ্যাক্সেস করতে পারছিলেন না, তখন পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাকে জিজ্ঞেস করা হলে তাঁরা জানায়, কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি (Meity) মন্ত্রকের নির্দেশে আইটি আইন-২০০০ অধীনে ওয়েবসাইট ব্লক করা হয়েছে। মালিক পক্ষের তরফে তাঁদের অফিস উচ্ছেদের নোটিশও ধরানো হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘এই সেন্সরশিপ সংবাদমাধ্যমের উপর আঘাত। আমাদের আর বলার কিছুই নেই। ২০১১ সাল থেকে সরকারের চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে স্বাধীন, বিশ্বাসযোগ্য এবং কণ্ঠহীন্দের কণ্ঠস্বর হয়ে সংবাদ পরিবেশন করে এসেছি’।
অন্যদিকে, এই ‘সেন্সরশিপ’ নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ‘ডিজিপাব নিউজ ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন’। কাশ্মীর টাইমসের নির্বাহী সম্পাদক অনুরাধা ভাসিন, ফ্রি স্পিচ কালেক্টিভের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক গীতা শেশু সহ বেশকিছু সাংবাদিক এবং সমাজকর্মীরা সরকারের এই পদক্ষেপকে নিন্দা জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, ‘এটি মত প্রকাশের স্বাধীনতায় আঘাত এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার অভাব’। সূত্র – পুবের কলম পত্রিকা