টিডিএন বাংলা ডেস্ক : এবার কি পরমাণু যুদ্ধ? যুদ্ধের প্রথম দিনই কুখ্যাত চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রুশ দখলে চলে যাওয়ার পরে এমনই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অনেকের মনেই ফিরে এসেছে ৩৬ বছর আগেকার ভয়ঙ্কর স্মৃতি।
ইউক্রেনকে তিন দিক থেকে ঘিরে ধরে হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। এর মধ্যে একটি পথ হল চেরনোবিল। এই কেন্দ্রটি দখল করতে গিয়ে পরমাণু কেন্দ্রের মূল কাঠামোর সাময়িক হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। বিষাক্ত গামা বিকিরণ এর মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই আশঙ্কা সত্যি হলে ফের এখানে বিপর্যয়ের ছায়া দেখতে পাবে গোটা দুনিয়া।
১৯৮৬ সালে এই পরমাণু কেন্দ্রের চারটি চুল্লির মধ্যে একটিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী ৯৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিস্ফোরণের জেরে বাতাসে পারমাণবিক তেজস্ক্রিয় মিশে যায়। তা হিরোশিমায় ব্যবহৃত পরমাণু বোমার ৫০০ গুণ। ছয় মাসের মধ্যে অবশ্য কংক্রিট ও ইস্পাতের চাদর দিয়ে চতুর্থ চুল্লি ঢেকে দেওয়া হয়। এই ভাবেই টানা ৩৬ বছর পড়ে আছে চেরনোবিল। বেলারুশ সীমান্ত দিয়ে খুব সহজেই এখানে প্রবেশ করা যায়। ফলে কিয়েভ দখল করতে এই পথকেই বেছে নেয় রুশ সেনা।
বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা ক্ষেপণাস্ত্র কিংবা গোলার আঘাতে ফের বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে পরমাণু বর্জ্য ছড়াতে পারে গোটা ইউরোপে।