টিডিএন বাংলা ডেস্ক : সংবিধান দিবস উদযাপনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে আইনসভার সমালচোনা শোনা গেল প্রধান বিচারপতির মুখে। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজুর উপস্থিতিতেই আইনসভাকে আইন পাশ করার আগে তার প্রভাব কি হতে পারে সে বিষয়ে যথাযথ মূল্যায়ন করারও পরামর্শ দেন তিনি। তিনি বলেন, “আইনসভা যে আইন পাস করে তার প্রভাব কি হতে বহু সময় তা মূল্যায়ন করে না। ফলে তা “বড় সমস্যার” দিকে যায়। এর ফলে বিচার বিভাগের ওপর বোঝা বাড়ে।” এমন পরিস্থিতিতে শনিবার প্রধান বিচারপতি এই মন্তব্য করলেন যখন বিতর্কিত কৃষি আইন ও তা প্রত্যাহারের ঘোষণা নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনা চলছে।
এদিন তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে যে আদালতগুলি রয়েছে সেগুলিকে বাণিজ্যিক আদালত হিসাবে নয়া নামকরণ করে কিছু হবে না। আগে পরিকাঠামো তৈরি করতে হবে। তা না হলে তা বিচারপ্রক্রিয়ায় কোনওপ্রভাব ফেলবে না।” বিচারক এবং আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে তাঁর বক্তব্য, “আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, যতই সমালোচনা বা বাধার সম্মুখীন হই না কেন, ন্যায়বিচার প্রদানের আমাদের মিশন বন্ধ হবে না। বিচার বিভাগকে শক্তিশালী করতে এবং নাগরিকদের অধিকার রক্ষার জন্য আমাদের কর্তব্য পালনে অগ্রসর হতে হবে।”
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, “আমি মনে করি না যে ভারতে স্বাধীনতার পর থেকে, বিচার বিভাগের কাঠামোগত স্তরবিন্যাস ঠিক কী হওয়া উচিত তা বিবেচনা করার জন্য একটি গুরুতর গবেষণা হয়েছে।” এরপর তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, “বিচার বিভাগে বিচারাধীন মামলার বিষয়গুলি বহুমুখী।” তিনি আশা পোষণ করেন সরকার দু’দিনের কর্মসূচীতে প্রাপ্ত পরামর্শগুলো বিবেচনা করবে, একই সঙ্গে সমস্যাগুলোর সমাধান করবে।
উল্লেখ্য যে, বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দীর্ঘ আন্দোলনের পরে অবশেষে কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের কাছে নতিস্বীকার করে। তারা বাধ্য হয়ে বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছে। যদিও বিষয়টিকে কেউ দেখছেন বিজেপির রাজনীতি হিসাবে। আবর কেউ এটাকে বিজেপির পরাজয় হিসাবে দেখছেন। তবে এই সিদ্ধান্ত যে কারণেই হোকনা কেন কৃষকরা এটাকে তাদের বীজয় হিসাবেই দেকছেন। তবে এখনই থামছেনা আন্দোলন। বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নিলেও তাদের অন্যান্য দাবি পুরন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন কৃষকরা।