নিজস্ব সংবাদদাতা, টিডিএন বাংলা, কলকাতা: প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বর সারা বিশ্বে মানবাধিকার দিবস উদযাপিত হয়। ব্যাতিক্রম ঘটেনি এবছরও। বিশ্বের তাবড় জনসেবকদের সঙ্গে মানুষের অধিকার রক্ষায়,গণআন্দোলন, দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানো ও ধর্মনিরপেক্ষতায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মানবধিকার কর্মী শামিম আহমেদ।
যিনি তার বিলাশবহুল আর্থিক স্বাচ্ছন্দ ত্যাগ করে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে এ রাজ্যে একের পর এক মানুষের অধিকার রক্ষায় কাজ করে চলেছেন।
২০০৪ সালে শামিম আহমেদ দেশের দ্বিতীয় উচ্চারিত রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসাবে উর্দুকে স্বীকৃতি দেওয়ার গণআন্দোলন শুরু করেন। পশ্চিমবঙ্গে উর্দুকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্যে উর্দু সংবাদপত্র বিক্রি, জুতো পালিশ এমনকি অনশন ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
মথুরা, কাশী ও অযোধ্যার পর যে আন্দলনের আঁচ ছড়িয়ে পড়ে পশ্চিমবঙ্গেও।
২০১২ সালের এপ্রিলে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিধানসভায় উর্দুকে দ্বিতীয় ভাষার মর্যাদা প্রদান করে বিলটি পাস করে।
বিশ্ব মানবধিকার দিবসের এক অনুষ্ঠানে শামিম আহমেদ আক্ষেপ করে বলেন, রাজ্য সরকার এটিকে দ্বিতীয় ভাষার মর্যাদা দিলেও এখনও অফিস কাছারিতে এই ভাষার ব্যাবহার হয়না। উর্দু ভাষার ব্যাবহার অফিস কাছারিতে ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগ ও লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে জানান এই মানবাধিকার সংগঠক।
হিউম্যান রাইটস প্রটেকশন অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা করে শামিম আহমেদ দেশজুড়ে মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে দীর্ঘ সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। সেখানেই মানুষের বঞ্চনা, যেখানেই মানুষের দুর্দশা সেখানেই ত্রাতার ভূমিকায় দেখা যায় মানবদরদী এই মানুষটিকে।
তাঁর জন্মদিন পালিত হল ১০ ডিসেম্বর। ওই দিনই ছিল মানবাধিকার দিবস। জন্মদিন ও মানবাধিকার দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠান যেন একাকার হয়ে উঠল মিলেমিশে। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সদস্য-সদস্যারা। শামিম আহমেদ বলেন, যে কাজে তিনি ব্রতী হয়েছেন তা থেকে কোন দিন তিনি পিছনে ফিরে তাকাবেন না। এগিয়ে যাবেন মানুষের লক্ষ্য পূরণে।
হিউম্যান রাইটস প্রটেকশন অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি আক্তারুজ্জামান মোল্লা বলেন, শুধু রাজ্য নয়, তাদের কর্মযজ্ঞ গোটা দেশ জুড়ে। মানুষের অধিকার রক্ষায় যে কাজ শুরু হয়েছে তার আরও বিস্তার লাভ করছে। সদস্য সংখ্যা বাড়ছে রোজ।
কেক কেটে সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি শামিম আহমেদের জন্মদিন পালন করা হয়। সেই সঙ্গে পালন করা হয় সংগঠনের জন্মদিনও।