সাধারণ মানুষের রুটিরুজির স্বার্থে বাস ট্রেন চালু করার জোরালো দাবিতে আন্দোলন শুরু

নিজস্ব ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা, টিডিএন বাংলা, কলকাতা: সাধারণ মানুষের রুটিরুজির স্বার্থে বাস ট্রেন চালু করার জোরালো দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বেশ কিছু মানুষ ফেসবুকে পোস্ট করে জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষের রুটিরুজির স্বার্থে গণ পরিবহণ চালু করতে হবে।

ওইসব মানুষের দাবি, রেশনে আধার সংযোগ বন্ধ করে দুয়ারে রেশন প্রকল্প সর্বাত্মক করতে হবে। কাজে যোগদানের জন্য টিকাকরণকে আবশ্যিক শর্ত করার নীতি বাতিল করতে হবে।

একুশের ডাক গণ-উদ্যোগের পক্ষে এই দাবি তুলেছেন দীপঙ্কর ভট্টাচার্য,কুমার রানা,শামিম আহমেদ,বাসুদেব বসু,শতাব্দী দাশ,অমিত দাশগুপ্ত,দীনবন্ধু ভট্টাচার্য, মহাশ্বেতা সমাজদার,সাদিক হোসেন,মধুরিমা বক্সী,সিদ্ধার্থ সমাজদার, মির্জা মোসারফ হোসেন, মিতালি বিশ্বাস, মলয় তেওয়ারি, সায়ন্তনী নাগ, সুমন সেনগুপ্ত, স্বদেশ চ্যাটার্জী, সুমনা সেনগুপ্ত, কমলকুমার দাশ, ঋতম মাজি, সুমন কল্যাণ মৌলিক, প্রীতম মণ্ডল, সৌরবিজয় সরকার, সৌভিক ঘোষাল,তৌফিক রিয়াজ,আশিসকুসুম ঘোষ, সুজাত ভদ্র, মেরুনা মুর্মু প্রমুখ।

ওইসব মানুষ বলছেন,দু দফায় চলা মোট তিরিশ দিনের কড়া বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করার কথা জানিয়েছে রাজ্য সরকার। সরকারি বেসরকারি অফিস খোলার কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের আর্থিক কর্মকাণ্ডে কিছু কিছু ছাড় দেওয়ার কথা।

কিন্তু আমরা আশ্চর্য হয়ে লক্ষ করছি গণ পরিবহণ সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়েছে।
অর্থাৎ, যাদের নিজেদের গাড়ি আছে বা ওলা উবর চড়ার সামর্থ্য আছে তাদের জন্য বাঁকা পথে অনেক রাস্তা খোলা, অথচ যারা ট্রেন বাস গণপরিবহণের ওপর নির্ভরশীল তাদের জন্য কার্যত সম্পূর্ণ লকডাউন।
একুশের ডাক গণ-উদ্যোগ বলছে, রাজ্য সরকারের এই নীতি বিদ্যমান সামাজিক বৈষম্যকে আরো প্রকট করে তুলবে। লক্ষ লক্ষ গরীব সাধারণ মানুষের রুটি রুজি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কলকাতায় কর্মরত মফস্বলের মানুষরা এবার কাজ হারাবে।

আমরা লক্ষ্য করেছি জীবিকা বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টায় গুটি কয় স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে অসংখ্য মানুষ প্রাণপণে স্থান করে নিতে চাইছেন। প্রবল ভিড় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিকেই কার্যত আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের কাছে আমাদের দাবি, তারা সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে অবিলম্বে লোকাল ট্রেন, বাস, মেট্রো, অটো, ফেরি সার্ভিস ইত্যাদি সমস্ত গণ পরিবহণ চালু করুক।

একুশের ডাক গণ-উদ্যোগ আরও বলছে, রাজ্য সরকার তাদের বিবৃতিতে টিকাকরণকে কাজে যোগ দেবার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক শর্ত হিসেবে উল্লেখ করেছে, অথচ বেশিরভাগ মানুষ এখনও টিকা নেবার সুযোগই পান নি। এই সিদ্ধান্তও তাই পুনর্বিবেচনা করা করা দরকার।

সেই সঙ্গে আমরা রাজ্য সরকারকে দুয়ারে রেশন পৌঁছে দেবার প্রতিশ্রুতি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। আমাদের দাবি আধার কার্ড বা রেশন কার্ডের শর্ত ছাড়াই ঘরে ঘরে রেশন পৌঁছে দিতে হবে।’