টিডিএন বাংলা ডেস্ক : দীপাবলি পাড়। আলোর উৎসব শেষ হতেই ঘোর অন্ধকার উত্তরপ্রদেশে। যা তুলে ধরল উন্নয়নের ধ্বজাধারীদের রাজ্যের আসল চেহারাটা। এই বছর অযোধ্যায় জ্বলে উঠেছিল ১২ লাখ প্রদীপ। বিরলতম নজির গড়ে তোলায় গিনেস রেকর্ডে নাম ওঠে উত্তরপ্রদেশের। কিন্তু প্রদীপের আলো নিভতেই অন্ধকার নেমে আসে রাজ্যে। এই অন্ধকার যেন ‘রাতের থেকেও অন্ধকার’। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে একটি ভিডিয়ো। যেখানে দেখা যাচ্ছে, প্রদীপের আলো নিভতেই সেই তেল কুড়োতে ব্যস্ত নারী ও শিশুরা।
কথায় বলে, ”প্রদীপের নীচেই অন্ধকার।” যোগীরাজ্যে মিলে গেল সেই বাক্যই। দিওয়ালির ১২ লাখ প্রদীপের আলো নিভতেই হর কি পউরিতে সরযূ নদীর তীরে তেল সংগ্রহ করতে ব্যস্ত ওই রাজ্যের হত দরিদ্র মানুষরা। সেই তেল কেউ ভরেছেন বোতলে, কেউ আবার ক্যানে। এমনকী নিভে যাওয়া প্রদীপগুলিও সংগ্রহ করে নিচ্ছে তারা। মনে করা হচ্ছে রান্নার কাজেই লাগানো হবে ওই তেল। উত্তরপ্রদেশের এক অবসরপ্রাপ্ত আমলা সূর্যপ্রতাপ সিং ভিডিওটি টুইট করেছেন। সেখানে তিনি লেখেন, দিওয়ালিতে ১২ লক্ষ প্রদীপ জ্বালিয়ে যোগী সরকার গরিবদের ব্যঙ্গ করছে। পোস্টে তিনি আরও লিখেছেন, ”১২ লক্ষ প্রদীপ জ্বালাতে ৩৬ হাজার লিটার সরষের তেল খরচ করতে পারে রাজ্য সরকার। এই রাজ্যের ৩০ শতাংশ মানুষ রোজ খেতে পান না। সরকার সেই গরিবদের যেন ব্যঙ্গ করল।” উল্লেখ্য, সূর্যপ্রতাপ উত্তরপ্রদেশের শিক্ষা দফতরের প্রধান সচিব ছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি অবসর নেন।
প্রাক্তন সচিবের ওই ট্যুইটের পর অনেকেই সমালোচনা করেছেন। কেউ লিখেছেন, ”যোগীজি যদি প্রতিটি দরিদ্র পরিবারকে অর্ধেক লিটার তেল দিতেন, তাহলে অনেকেই রান্না করে খেতে পারত।”