টিডিএন বাংলা ডেস্ক : গোরক্ষপুরের ব্যবসায়ী মনীশ গুপ্তার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় নয়া মোড়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বেকায়দায় যোগী আদিত্যনাথ সরকার। ওই রিপোর্ট পুলিশের দুর্ঘটনার তত্ত্ব খারিজ করে, উল্টে তাদেরই কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। চাপে পড়ে মুখ্যমন্ত্রী ওই ব্যবসায়ীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ব্যবসায়ী মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ দাবি করে, হোটেলে তল্লাশির সময় জ্ঞান হারান মনীশ। মাটিতে পড়ে গিয়ে মাথায় চোট পান। তাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। অন্যদিকে পরিবার প্রথম থেকেই দাবি করে আসছিল যে, খুন করা হয়েছে মনীশকে। পরিবারের সেই দাবিকেই সিলমোহর দিল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। রিপোর্টে বলা হয়েছে, শারীরিক নির্যাতনের শিকার ওই ব্যবসায়ী। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মাথাতেও আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। শক্ত লাঠি দিয়ে কব্জিতে আঘাত করায়, কব্জি ভেঙে যায়। ভারী কিছু দিয়ে দুই চোখ ও কপালে আঘাত করা হয়েছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত মনীশের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে যাওয়া হয়।
মনীশের পরিবার প্রথমে দেহ সৎকারে রাজি ছিল না। কিন্তু ৭ পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড ও মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসছেন শুনে সিদ্ধান্ত বদল করেন তারা। গোরক্ষপুর অর্থাৎ যোগী আদিত্যনাথের বিধানসভা কেন্দ্র। সামনেই বিধানসভা ভোট। তার আগে এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাপ বাড়ল সরকারের ওপর। এই ইস্যুতে চেপে ধরেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। তিনি বলেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যে এনকাউন্টার সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধি নাম না করে যোগী আদিত্যনাথ এর ইস্তফা দাবি করেছেন।