সর্বদল বৈঠক ডেকে নিজেই এলেন না প্রধানমন্ত্রী

ছবি সৌজন্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির টুইটার পেজ।

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের আগে নিয়ম মেনে নিজেই সর্বদল বৈঠক ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু তিনি নিজেই সেই সর্বদল বৈঠকে অনুপস্থিত থাকলেন। তাঁর পরিবর্তে বৈঠকে কেন্দ্রিয় সরকারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন, মন্ত্রিসভার সিনিয়র সদস্য রাজনাথ সিং এবং পীযুষ গোয়েল। গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশনের আগে ডাকা সর্বদল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতির ফলে ক্ষুব্ধ বিরোধী শিবির। কেন তিনি গড়হাজির ছিলেন প্রশ্ন তুলছে কংগ্রেস।

নিয়ম মেনে সংসদের যে কোনও অধিবেশনের আগে সরকার পক্ষ সর্বদল বৈঠক ডাকে। সংসদের অধিবেশনে কী কী বিষয়ে আলোচনা হবে সেই বৈঠকেই ঠিক করা হয়। কি কি বিল পেশ হবে তাও ঠিক করা হয় এই বৈঠকেই। সরকার পক্ষ অধিবেশন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য বিরোধীদের সমর্থনও প্রার্থনা করে। বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, তাঁদের প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, “আমরা আশা করেছিলাম প্রধানমন্ত্রী আজকের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। কিন্তু কোনও কারণে তিনি এলেন না। সরকার কৃষি আইন প্রত্যাহার করছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বলছিলেন তিনি কৃষকদের এই বিলের সুবিধা বোঝাতে পারেননি। যার অর্থ এই বিলগুলি পরে অন্যভাবে আনার সম্ভাবনা রয়েছে। এসব নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের একাধিক প্রশ্ন আছে।”

উল্লেখ্য যে, সর্বদল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়গে, অধীর চৌধুরী, তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও ব্রায়েন, ডিএমকে এর টিআরবালু-সহ অন্যান্যরা। সংসদের আসন্ন অধিবেশনে ১০টি ইস্যুতে আলোচনার দাবি জানিয়েছে তৃণমূল। কংগ্রেস দাবি, দেশে করোনায় মৃত প্রত্যেক নাগরিকের পরিবারকে ন্যূনতম ৪ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। বিক্ষোভে মৃত কৃষকদের পরিবারকেও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এছাড়া তৃণমূল ইঙ্গিত দিয়েছে, পেগাসাস, বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধি, মূল্যবৃদ্ধি, করোনার মতো ১০ ইস্যু তুলবেন তাঁরা।