নিজস্ব সংবাদ, টিডিএন বাংলা : করোনা পরিস্থিতির কারণে রাজ্য সরকার স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।কিন্তু আবারও শুরু করা হয়েছে শিক্ষালয়ের পঠনপাঠন। স্বভাবতই খুশি শিক্ষার্থী, শিক্ষক, শিক্ষিকা সকলেই। বিশেষত ক্লাস এইট ও নাইনের শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি আপ্লুত। কারণ কোভিড পরিস্থিতির জন্য দীর্ঘ প্রায় ২ বছর ধরে তারা স্কুল থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। টেন থেকে টুয়েলভ পর্যন্ত মাঝে মাঝে ক্লাস হলেও তারা সেই সুযোগ পায়নি। চাঁপাগাছি হাই স্কুলের ক্লাস এইটের একজন ছাত্র আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমরা যদি আরও আগে থেকে ক্লাস করার সুযোগ পেতাম তাহলে আরও ভালো হতো। কারণ স্কুল বন্ধ থাকায় আমরা বাড়িতে সেভাবে পড়াশোনা করতে পারিনি।’
অন্যদিকে ওই স্কুলেরই টি আই সি সুদর্শন মাইতি স্যার বলেন, ‘সব রকম কোভিড বিধি মেনেই ক্লাস চলছে। আবারও স্কুলে ক্লাস করার সুযোগ পেয়ে শিক্ষার্থীরাও খুবই আনন্দিত। তিনি জানান এখন এইট থেকে টুয়েলভ পর্যন্ত ক্লাস শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে তিনি আশা প্রকাশ করেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অবশ্যই নীচু ক্লাসের শিক্ষার্থীরাও পূর্বের মতোই স্কুলে এসে ক্লাস করার সুযোগ পাবে।’
চাঁপাগাছি হাই স্কুলের শিক্ষক লালটু রায় বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের জন্যই তো স্কুল। স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষার্থীবিহীন স্কুল আমাদেরও ভালো লাগেনা। তাই আবারো স্কুলে পঠনপাঠন শুরু হওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত। একইসঙ্গে আমি সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।’
প্রসঙ্গত, অতিমারির দোহাই দিয়ে রাজ্য সরকার স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলে পঠনপাঠন চালু রাখার দাবিতে রাজ্য জুড়ে শুরু হয় প্রতিবাদ-বিক্ষোভ। বিশেষত সমাজকর্মী ও ছাত্র সংগঠনগুলি সরকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলে যে, শপিংমল, পার্ক, বাজার, রেস্তোরাঁ সহ সমস্ত কিছু যদি কোভিড বিধিনিষেধ মেনে খোলা রাখা যায় তাহলে শিক্ষালয়ের পঠনপাঠন কেন বন্ধ থাকবে। অবশেষে মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। এই তীব্র প্রতিবাদ ও আন্দোলনের ফলেই রাজ্য সরকার স্কুল-কলেজে আবারও পঠনপাঠন শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই।