জ্ঞানবাপী মসজিদ নয়, লিখতে হবে “মন্দির”, প্রাক্তনীদের ইমেলে নির্দেশ দিল স্কুল কর্তৃপক্ষ

টিডিএন বাংলা ডেস্কঃ জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলা নিয়ে দেশ জুড়ে চলমান বিতর্কের মাঝেই এবার নিজের স্কুলের প্রাক্তনীদের এক বিতর্কিত নির্দেশ পাঠাল ব্যাঙ্গালুরুর একটি সরকারি স্কুল। রীতিমত ইমেল করে স্কুলের প্রাক্তনীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদকে গুগল ম্যাপে “মন্দির” বলে উল্লেখ করতে হবে। একটি স্কুলের তরফ থেকে এমন নোটিশ প্রকাশ্যে আসতে সমালোচনার ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ২০ তারিখ এই ইমেল করা হয়েছিল। ওই স্কুলের এক প্রাক্তনী প্রীতি কৃষ্ণমূর্তি জানিয়েছেন, গত ২০ মে তিনি এমন একটি ইমেল পান। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি বিষয়টি উত্থাপন করে তাঁর বিস্ময় প্রকাশ করেন। তাঁর দাবি, “আমি এমন একটা ইমেল পেয়ে শিহরিত। এটা আমার স্কুল পাঠিয়েছে বলেই নয়। এমন একটা মেল কোনও স্কুল পাঠাতে পারে।”
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ইমেলটি যথাযথ ভাবে যাচাই না করেই পাঠানো হয়েছিল। স্কুলের তরফে জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ”ধর্মীয় আবেগকে অসম্মান করে একটি ইমেল পাঠানোর বিষয়টি আমরা লক্ষ করেছি। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ইস্যুটি বিবেচনা করা হচ্ছে। আমাদের তরফ থেকে এটা জানানো হচ্ছে যে যথাযথ ভাবে যাচাই না করেই ইমেলটি পাঠানো হয়েছিল। ভারতের সাংস্কৃতিকও ধর্মীয় বৈচিত্রের জন্য আমরা গর্বিত। আমাদের স্কুলে আমরা সেই সংক্রান্ত অনুশীলন প্রতিনিয়ত বজায় রাখি।”
প্রসঙ্গত, গত বছরের আগস্ট মাসে দিল্লি নিবাসী পাঁচজন হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর ‘মা শৃঙ্গার গৌরী’ এবং মসজিদের অন্দরের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করে তা পূজার্চনার অনুমতি চেয়েছিলেন বারাণসী আদালতে। ওই মামলায় এরপর বারাণসী আদালতের নির্দেশে জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতরে ভিডিও সার্ভে শুরু হলে দাবি ওঠে মসজিদের অজুখানায় একটি ‘শিবলিঙ্গ’ পাওয়া গিয়েছে। ভিডিও সার্ভের রিপোর্ট ইতিমধ্যেই আদালতে পেশ করা হয়েছে। অন্যদিকে, জ্ঞানবাপী মামলা বারাণসির দায়রা আদালত থেকে জেলা জজের আদালতে স্থানান্তর করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আপাতত সিল থাকবে মসজিদের অজুখানা এবং মসজিদের ভেতরে নমাজ পাঠ করতেও কোনও বাধা থাকবে না।