HighlightNewsদেশ

করোনার যুদ্ধের মোকাবিলায় নীতি আয়োগের রিপোর্ট কার্ডে খুশি নয় রাজ্য

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: করোনার সংক্রমণ রুখতে কোন কোন রাজ্য কি কি পদক্ষেপ নিয়েছে তার ভিত্তিতে সার্বিক রিপোর্ট তৈরি করেছে নীতি আয়োগ। ওই রিপোর্টে যৌন স্বাস্থ্য এবং চিকিৎসা শাখায় জনগোষ্ঠীর ওপর নজরদারি ও চিকিৎসা সামগ্রী উৎপাদন ও তার সুষ্ঠু বিতরণ খাতে ভালো কাজের স্বীকৃতি পেলেও ডিজিটাল স্বাস্থ্য, সুসংহত ব্যবস্থাপনা, পরিযায়ী শ্রমিকদের ব্যবস্থাপনার মতো বাকি পাঁচটি শাখার একটিতেও ভালো ফল করেনি পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যে পক্ষ থেকে পাঠানো রিপোর্ট এর পাশাপাশি ইন্টারনেটে উপলব্ধ বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে যে পদ্ধতিতে নীতি আয়োগ এর এই রিপোর্ট প্রস্তুত করা হয়েছে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।

নীতি আয়োগের ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, করোনাভাইরাসের মোকাবিলা করতে সুসংহত ভাবে নজরদারি করা এবং সর্দি-কাশির মত সাধারণ উপসর্গ না থাকা সত্ত্বেও প্রতিটি রোগীর করো না পরীক্ষা করার মতন যে পদক্ষেপ গুলি পশ্চিমবঙ্গ সরকার নিয়েছে তা স্বীকৃতি যোগ্য। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকিটের চাহিদা মেটাতে রাজ্য সরকার “ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট হ্যান্ডলুম উইভারস কো-অপারেটিভ”-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে যেভাবে পিপি কিট উৎপাদন এবং তিন কোটি মাস্ক সংগ্রহ করে তা স্বাস্থ্যকর্মী,পুলিশ, পুর ও দমকলকর্মী ছাড়াও পড়ুয়া ও একশো দিনের কাজ করা মজদুরদের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা সময়োচিত বলে মনে করে কেন্দ্র সরকারের ওই রিপোর্ট। তবে আদর্শ কনটেইনমেন্ট জোন গড়ে তোলা, স্বাস্থ্য কর্মীদর দক্ষতা বৃদ্ধি ও তাদের উন্নয়ন, দক্ষ প্রশাসন, ডিজিটাল স্বাস্থ্য, পরিযায়ী শ্রমিকদের উন্নয়ন মতো একাধিক ক্ষেত্রে ভালো কাজ করার জন্য প্রশংসিত হয়েছে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য উত্তর প্রদেশ। উত্তরপ্রদেশের পাশাপাশিসংক্রমিত ব্যক্তিদের খুঁজে বার করতে কেরল সরকার যে মডেল প্রস্তুত করেছে তার প্রশংসাও করেছে ওই রিপোর্ট।

তবে পশ্চিমবঙ্গের এই মূল্যায়ন প্রসঙ্গে একেবারেই খুশি নয় রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া তার বক্তব্য অনুযায়ী, কেন্দ্রের রিপোর্টে কী বলা হয়েছে তা দিয়ে কোন কিছু বিচার করা যায় না। নিরপেক্ষতার মাপকাঠিতে করোনা নিয়ন্ত্রণে পশ্চিমবঙ্গের প্রশংসা করতেই হবে। নিজের বক্তব্যের সমর্থনে তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গের সাধারণত কেউ করণায় আক্রান্ত হলে আধঘণ্টার মধ্যে তাকে ফোন করা হচ্ছে।হাস্পাতালে ভর্তি করতে হলে তার বাড়িতে অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে এমনকি সুস্থ হয়ে যাওয়ার পরে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া করণা মোকাবিলার জন্য প্রতিটি হাসপাতালে নিরবিচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহের পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে।হোম আইসোলেশন এর রোগীরা যাতে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকেন সেই ব্যবস্থাও করা হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে। অজয় চক্রবর্তীর দাবি পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তদের জন্য বেডের অভাব নেই। স্বাস্থ্য অধিকর্তার মন্তব্য, করোনা নিয়ন্ত্রণে এমন অনেক ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে পশ্চিমবঙ্গ প্রথম সারিতে রয়েছে। সরকারও খরচের ক্ষেত্রে কোনো খামতি রাখেনি।

Related Articles

Back to top button
error: