নিজস্ব প্রতিনিধি, টিডিএন বাংলা, করিমপুর:
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। ২০মাস পর অবশেষে আজ মঙ্গলবার রাজ্যের স্কুল কলেজে শুরু হল নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পঠন-পাঠনের কাজ। এতদিন স্কুল গুলিতে মিড-ডে-মিল সহ অন্যান্য কাজ চললেও বন্ধ ছিল পঠনপাঠন। সারা রাজ্যের পাশাপাশি নদিয়ার করিমপুরের বিভিন্ন স্কুলে পড়ুয়াদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে করিমপুর পান্নাদেবী কলেজ ও বেতাই কলেজেও হাজির হয় ছাত্র ছাত্রীরা। এদিন ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যেও দেখা যায় প্রবল উৎসাহ উদ্দীপনা।
পড়ুয়াদের গোলাপ দিয়ে স্বাগত জানাতে দেখা গেছে নতিডাঙ্গা অমিয় স্মৃতি বিদ্যালয় সহ অন্যান্য বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। সরকারি নির্দেশিকা মেনেই চালু হয় বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন। বিদ্যালয়ের মেইন গেটেই দুরুত্ব বিধি মেনে পড়ুয়াদের দাঁড় করিয়ে থার্মাল গান দিয়ে মাপা হয় শরীরের তাপমাত্রা। দেওয়া হয় স্যানিটাইজার। স্বাগত জানিয়ে তাদের হাতে গোলাপ, পেন ও চকলেট তুলে দেন শিক্ষক-শিক্ষিকারাই। অনেকদিন পর একসঙ্গে সহপাঠীদের পেয়ে খুশির জোয়ার পড়ুয়াদের মধ্যেও।
নবম শ্রেণির পিয়ালি বিশ্বাসের কথায়, আমরা আজ স্কুলে আসতে পেরে কি যে আনন্দবোধ করছি তা ভাষায় করতে পারবনা । অনেক দিন পর বন্ধু বান্ধবীদের সাথে দেখা হচ্ছে এটা আরো বেশী আনন্দের।”
পন্ডিতপুর সামসেরিয়া হাই মাদ্রাসার শিক্ষক রেজাউল মন্ডল বলছিলেন, “দীর্ঘদিন পর প্রানপ্রিয় ছাত্র ছাত্রীদের এভাবে একসঙ্গে পেয়ে তৃপ্তি ভরে পর পর দুটি ক্লাস নিয়ে মন-প্রাণ জুড়িয়ে গেল। এইভাবেই যেন বাকি ক্লাসগুলিও শুরু হয়ে যায়।”
নতিডাঙ্গা অমিয় স্মৃতি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান বলেন, “আজ এই আনন্দঘন মুহুর্তের সাক্ষী থাকতে পেরে আমি ভীষন আনন্দিত। সমস্ত কোভিডবিধি মেনে স্কুল খোলার সরকারী সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা পড়ুয়াদের শিক্ষার মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর। শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ভীড়ে আজ যেন বিদ্যালয় তার প্রান ফিরে পেল।”