টিডিএন বাংলা ডেস্ক: অবশেষে ব্রিটেনে ঘটল দীর্ঘ নাটকের যবনিকা পতন। বিগত ২ দিনের দীর্ঘ টানা পোড়েনের পর শেষ পর্যন্ত ইস্তফা দিলেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। পর পর প্রায় ৫০ জন মন্ত্রীর পদত্যাগের পরেও ইস্তফা দিতে রাজি ছিলেন না বরিস। যে কোনো মূল্যে ক্ষমতায় টিকে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যান তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। নিজেরই দলের মধ্যে কোণঠাসা হয়ে পড়ায় শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে পদত্যাগ করলেন বরিস। ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে ঘোষণা দিলেন প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শেষ বারের মত বক্তৃতা দিতে গিয়ে বরিস জনসন আক্ষেপ করে বলেন, ‘‘এটা এখন আমার কাছে স্পষ্ট যে আমার এমপি-রা আমাকে দল বা দেশের নেতা হিসেবে দেখতে চান না।’’
সরকার প্রধানের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেও কনসারভেটিভ পার্টি যত দিন না নতুন নেতা নির্বাচিত করছে, তত দিন তিনিই তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই থাকতে চান বলেও জানিয়েছেন বরিস। এর আগে অবশ্য পদত্যাগ করতে অস্বীকার করে ছিলেন বরিস জনসন। সাম্প্রতিক কালে একাধিক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন বরিস। লকডাউনে সরকারি বাসভবনে একাধিক মদের আসর নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন। তার বিরুদ্ধে দলীয় আস্থাভোট আনা হলেও সে বারের মত বেঁচে যান বরিস। কিন্তু ডেপুটি চিফ হুইপ হিসেবে ক্রিস পিনচারকে নিয়োগ নিয়ে আবারও বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি।