এবার পড়ুয়াদের ‘মন কী বাত’ শুনবেন মুখ্যমন্ত্রী

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে শুধু ভাষণ নয়। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে এবার ভার্চুয়াল কথা বলতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামীকাল টিএমসিপির প্রতিষ্ঠা দিবস। করোনাকালে এই সভা হবে ভার্চুয়ালি। প্রধান বক্তা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই অনুষ্ঠানে তিনি যেন প্রয়োজন মতো ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন, সেই ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে।

দলীয় সূত্রে খবর, কালীঘাটে নিজের বাড়ি থেকে সভা চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী কথা বলতে পারেন আলিপুরদুয়ার, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম অন্য কোনও জেলার ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে। টিএমসিপি সূত্রে আরও খবর, এই প্রথম তারা নিজেদের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের পরিবর্তন আনতে চলেছে। টিভি চ্যানেলের টক শো’র মতন অনুষ্ঠান হবে। মানে শুধু বক্তৃতা শোনা নয়। দলনেত্রীর সঙ্গে পড়ুয়া সমর্থকদের কথা বলানোর ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। তার জন্য উন্নত মানের ক্যামেরা, হাই স্পিড ইন্টারনেট, ভালো সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ২১ জুলাই শহীদ স্মরণ সভাও এবার ভার্চুয়াল করা হয়েছে। তবে সেটা ছিল ওয়ান ওয়ে। অর্থাৎ মমতা শুধু বক্তব্য রেখেছেন। তার সঙ্গে দূরবর্তী জেলার আলোচনার কোনও ব্যবস্থা ছিলনা।

কেন হঠাৎ এই পরিবর্তন? ছাত্র সংগঠনের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ছাত্র-যুবকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই লক্ষ্যেই বার্তা দেবেন জননেত্রী। উল্লেখ্য এর আগে বিভিন্ন জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকের সময় কখনও কখনও মুখ্যমন্ত্রী দর্শক আসনে থাকা পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেছেন। শুনেছেন তাদের অভাব-অভিযোগের কথা। তবে সেটি সরকারি পরিসরের অনুষ্ঠান। এবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। সম্প্রতি দলের তরফে এই নির্দেশ আসে। দলীয় সূত্রে খবর, ৩৫ টি সাংগঠনিক জেলায় ৩৫টি স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি ব্লক ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় মিলিয়ে ১৫০টি ছোট ছোট স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কলেজের অডিটোরিয়াম বা মুক্ত মঞ্চ প্রাঙ্গণ ব্যবহার করা হবে। আর সেই জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুমতি আদায় করা শুরু করেছে সংগঠন।