টিডিএন বাংলা ডেস্ক : দিল্লির জহাঙ্গিরপুরীতে প্রতিনিধিদল প্রেরণের পর এবার উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে প্রতিনিধিদল প্রেরণ করছে তৃণমূল কংগ্রেস।জাতীয় স্তরে তৃণমূলকে চাপে ফেলতে বগটুই এবং হাঁসখালিতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল বিজেপি। এবার বিজেপির সেই অস্রোই বিজেপির দিকে বুমেরাং করে ফিরিয়ে দিচ্ছে তৃণমূল। জানা গিয়েছে, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যসভা সাংসদ দোলা সেনের নেতৃত্বে ‘সত্য অনুসন্ধানে’ উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ যাচ্ছেন তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল।
তৃণমূলের এই প্রতিনিধিদলে থাকছেন রাজ্যসভা তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন, বনগাঁর প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর, তৃণমূল নেতা সাকেত গোখলে, জ্যোৎস্না মাণ্ডি ও উত্তরপ্রদেশের তৃণমূল নেতা ললিতেশ ত্রিপাঠী। এখন প্রশ্ন হল, উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজেও কি অকুস্থলে পৌঁছতে পারবেন তৃণমূল নেতানেত্রীরা? কারণ ইতিপূর্বে তৃণমূলের প্রতিনিধিদলকে দিল্লিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই তাদের পথ আটকায় দিল্লি পুলিশ। এবারও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এই নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়েছে তৃণমূল নেতারা। তাঁদের প্রশ্ন বিজেপির প্রতিনিধি দলকে যখন নির্বিঘ্নে, পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে বাংলার ঘটনাস্থলে পৌঁছতে সাহায্য করা হচ্ছে। তখন বিজেপি শাসিত রাজ্যে কোনও ঘটনা ঘটলে, নিপীড়িতদের সঙ্গে দেখা করতে সেই পুলিশই বাধা দিচ্ছে তৃণমূলকে।
উল্লেখ্য যে, উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে একই পরিবারের ৫ জন সদস্যের রহস্য মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে তৈরী হয়েছে চরম উত্তেজনা। যার মধ্যে ছিল ২ বছরের শিশুও। প্রসঙ্গত, মাত্র এক সপ্তাহ আগেই প্রয়াগরাজের খাগলপুর গ্রামে আরো একটি ভয়ঙ্কর অপরাধের ঘটনা ঘটে। ১৬ এপ্রিল গ্রামের বাসিন্দা ৩৮ বছর বয়সি প্রীতি তিওয়ারি এবং তাঁর তিন মেয়ে মাহি (১২), পিহু (৪) এবং কুহু (৩)র মৃতদেহ গলাকাটা অবস্থায় খুঁজে পাওয়া যায়। মহিলার স্বামী রাহুলকে ঝুলন্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়।