টিডিএন বাংলা ডেস্ক : ভোটযুদ্ধের আগেই গৃহযুদ্ধে টালমাটাল পাঞ্জাব কংগ্রেস। কংগ্রেসের বর্তমান পরিস্থিতি ব্যাখ্যায় এই এক লাইনই যথেষ্ট বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবেন, তা নিয়ে দলের ভিতরে মারাত্মক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এদিকে আবার প্রচারের উদ্দেশ্যে হাই কমান্ডের তৈরি তারকা প্রচারকদের তালিকায় গুলাম নবি আজাদ, মণীশ তিওয়ারির মতো বর্ষিয়ান তারকা নেতারা উধাও।
এসবের মধ্যে রবিবার পাঞ্জাবের বিধানসভা ভোটে দলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করবেন রাহুল গান্ধি। রাজনৈতিক মহলের অনুমান, মুখে যতই হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তের প্রতি আনুগত্য দেখানোর প্রতিশ্রুতি দিন না কেন, মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে অন্য কারও নাম ঘোষণা মেনে নেবেন না সিধু। এই পরিস্থিতিতে ভোটের আগে সম্ভাব্য বিপর্যয় ঠেকাতে কোন নীতিতে এগিয়ে রাহুল-সোনিয়া দলের ভারসাম্য বজায় রাখেন, সেদিকে নজর রাজনৈতিক মহলের।
পাঞ্জাবে প্রত্যাবর্তন বনাম পরিবর্তনের লড়াই। কংগ্রেসের সবথেকে মাথাব্যথার কারণ সিধু। মুখ্যমন্ত্রী হতে না পেরে চরণজিৎ সিং চান্নিকে গোপনে কখনও বা প্রকাশ্যে আক্রমণ করেছেন সিধু। শুক্রবার সিধু বলেছিলেন কংগ্রেস হাইকমান্ড দুর্বল মুখ্যমন্ত্রী মুখ চাইছে। যিনি তাদের সুরে সুর মেলাবেন। সূত্রের দাবি, এরপরেই কংগ্রেস হাইকমান্ডের ক্ষোভের আঁচ পেয়ে যান সিধু। অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুলেছেন আনন্দপুর সাহিবের লোকসভা সাংসদ মনীশ তিওয়ারি। টুইটারে লেখেন, “আমি অবাক হতাম যদি এর উল্টো কিছু হতো। এর কারণও অজানা নয়।” দলের অভ্যন্তরে রাহুলের নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করা জি ২৩ গোষ্ঠীর অন্যতম নেতা গোলাম নবি আজাদের প্রতি কংগ্রেস হাইকমান্ড যে কোনও ভাবেই নরব মনোভাব দেখাচ্ছেনা তার প্রমাণ মিলেছিল গুলাম নবির পদ্মভূষণ পুরস্কার এর প্রতিক্রিয়া জানানোর সময়। পাঞ্জাবের প্রচারে গুলাম নবিকে বাদ দেওয়ার আরও একটি কারণ আছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কংগ্রেস সূত্রে দাবি, মণীশ তিওয়ারির সঙ্গে পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দলত্যাগী নেতা ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং এর সঙ্গে মণীশ তিওয়ারির ঘনিষ্ঠতার কারণে, তাকে প্রচারের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।