HighlightNewsদেশ

জহাঙ্গিরপুরীতে ঢুকতে দেওয়া হল না তৃণমূলের প্রতিনিধিদলকে, সত্যকে আড়াল করা হচ্ছে, অভিযোগ তৃণমূলের

টিডদিএন বাংলা ডেস্ক : যেভাবে বাংলাতে কোনো ঘটনা ঘটলেই বিজেপি নেতৃত্ব প্রতিনিধি দল পাঠান বাংলাতে। একই ভাবে পাল্টা দিতে এবার দিল্লির জহাঙ্গিরপুরীতে সরেজমিন দেখার জন্য প্রতিনিধিদল পাঠিয়ে ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তারা হিংসাস্থলে গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জহাঙ্গিরপুরীতে ঢুকতেই দেওয়া হল না তৃণমূলের প্রতিনিধিদলকে। যার ফলে মূল ঘটনাস্থলে না গিয়েই ফিরে আসতে হল তাদের। এই ঘটনায় প্রকৃত সত্যকে আড়াল করতেই কেন্দ্রীয় সরকার তাদের ঘটনাস্থলে ঢুকতেই দেয়নি বলে অভিযোগ করলেন তৃণমূল প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। এই ভাবে পুলিশি বাধার মুখে পড়ায় যারপরনায় ক্ষুদ্ধ তারা। কীভাবে সাংসদদের একটি প্রতিনিধি দলকে কোনো জায়গায় যেতে বাঁধা দিতে পারে কোনো রাজ্যের পূলিশ সেই প্রশ্নও তোলেন তারা। তবে শুধু তৃণমূলের প্রতিনিধিদলকে নয় ঘটনাস্থলে যেতে দেওয়া হয়নি সমাজবাদী পার্টির প্রতিনিধিদল এবং সিপিআই সাধারণ সম্পাদক ডি রাজাকেও।

এ প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, “পুরো এলাকা চারিদিক থেকে ব্যারিকেড করে ঘিরে রেখেছে। সে দিন ঠিক কী ঘটেছিল, বিজেপি সরকার তা জানতে দিতে চাইছে না। সত্যকে আড়াল করাই ওদের এক মাত্র উদ্দেশ্য।” তিনি আরও বলেন, “আমরা স্থানীয় এক মহিলা এবং বাচ্চাদের সহায়তায় পিছনের রাস্তা দিয়ে ঘটনাস্থলের কাছে গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। নোট নিয়েছি। ছবিও তুলেছি।” অর্পিতা বলেন, “জহাঙ্গিরপুরী এলাকায় পৌঁছতেই আমাদের ব্যারিকড করে ফেলা হয়। কারও সঙ্গে কথা বলতেই দেওয়া হয়নি। চারিদিকে ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করা হয়েছে।”

দিল্লির জহাঙ্গিরপুরী এলাকায় ধর্মীয় শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়ীক হিংসা ছড়ায়। অভিযোগ এদিন মসজিদ সংলগ্ন একাধিক দোকানে আগুন লাগানো হয়। মসজিদের সামনে দেওয়া হয় উস্কানি মূলক স্লোগান। যার ফলে শুরু হয় দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ। এই ঘটনায় বেছে বেছে মুসলিমদের গ্রেফতার ও অবৈধ বসতি উচ্ছেদের নামে তাদের ঘরবাড়ি-দোকান ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দিল্লি প্রশাসনের বিরুদ্ধে। এমতাবস্থায় প্রকৃত ঘটনা সরাসরি দেখার উদ্দেশ্যে দিল্লির জহাঙ্গিরপুরীতে কাকলি ঘোষ দস্তিদারের নেতৃত্বে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়, প্রতিমা মণ্ডল, সাজদা আহমেদ, প্রাক্তন সাংসদ অর্পিতা ঘোষকে জহাঙ্গিরপুরীতে পাঠিয়ে ছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Related Articles

Back to top button
error: