মালদায় গৃহবধূকে ধর্ষণ ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে

নিজস্ব সংবাদ, টিডিএন বাংলা: মালদা জেলার মহিষবাথানীতে গৃহবধূকে ধর্ষণ ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠলো ওই এলাকার তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে। ঘটনাচক্রে ওই জাহাঙ্গীর আলম আবার মহিষবাথানী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে জুলাই মাসের ১২ তারিখ একটি বাড়িতে ঢুকে সেই বাড়ির এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। তারপর তাকে হুমকি দেয় এই ঘটনা কারো সঙ্গে বললে পরিণতি আরও ভয়াবহ হবে। অভিযোগকারী নির্যাতিতা মহিলা বলেন, ‘ওই ফিটু জোড় করে ঘরে ঢুকে আমাকে রেপ করে। এর আগেও আমাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে ছিল। কিন্তু আমি রাজি না হইনি।’

এই ঘটনার পর ১৪ ই জুলাই মালদা জেলা আদালতে মামলা দায়ের করেন নির্যাতিতা। মালদা থানাকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয় জেলা আদালত। কিন্তু অভিযোগ আদালতের নির্দেশের পরও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। মালদা থানার পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনেছেন নির্যাতিতা। আর এই সুযোগে নির্যাতিতাকে অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি নির্যাতিতার। ওই মহিলার আরও অভিযোগ, উল্টে পুলিশও তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে থানা থেকে বের করে দিয়েছে।

বাধ্য হয়ে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মালদা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি বলে কটাক্ষ করেছেন এক বিজেপি নেতা উজ্জ্বল দত্ত। উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত বলেন, ‘এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে বিজেপির আন্দোলনে নামবে।’

এদিকে কেউ অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তৃণমূল। জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী কথায়, ‘কেউ অন্যায় করলে দল পাশে দাঁড়াবে না প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।’