Highlightদেশ

পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য রাজ্যের বাজেটে খুশি তৃণমূল নেতা মন্ত্রীরা, ক্ষোভ বিরোধীদের

টিডিএন বাংলা, কলকাতা: পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য রাজ্য বাজেটে খুশি তৃণমূল নেতা মন্ত্রীরা। তারা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বঞ্চিতদের জন্য কাজ করছেন। কিন্তু এই নিয়ে অবশ্য বিরোধী মতও আছে।

উপজাতি উন্নয়নের জন্য এক হাজার ৮৯ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য দু’হাজার ১৭৮ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব এসেছে। সংখ্যালঘু এবং মাদ্রাসা শিক্ষায় পাঁচ হাজার চার কোটি পাঁচ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বাজেটে। বাজেটের পর দলিত নেতা মুকুল চন্দ্র বৈরাগ্য বলেন,’ পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের জন্য যে উন্নয়ন করা যায় তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া ভারতবর্ষে কোনও সরকারের মাথায় আসেনি। কিভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের উন্নয়ন করা যায়, এই যে নীতি নির্ধারণ, এক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প নাই। তাই পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের মানুষ আশীর্বাদ দিচ্ছে।

লক্ষ্মীর ভান্ডারে তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতির মহিলাদের জন্য মাসে এক হাজার টাকা দেওয়া হয়। সংখ্যালঘু অন্য মহিলারা পাঁচশো টাকা পায়।
উপজাতিদের জন্য বাজেটে বরাদ্দ নিয়ে বিশিষ্ট দলিত লেখক ও বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী জানান,’ তফসিলি জাতির উন্নয়নের জন্য দিদি মমতা ব্যানার্জির আন্তরিকতার কোনও কম নেই। এটা আমি আজ নয়, বারবার বলেছি। এই বাজেটের মধ্যে দিয়েও সেটা প্রতিফলিত হল।
এদিকে সংখ্যালঘু মন্ত্রী মুহাম্মদ গুলাম রাব্বানী ২০২২-২৩ বাজেট নিয়ে ফেসবুকে মন্তব্য করে লেখেন,মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই সেই সঙ্গে অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমাকেও। সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষার জন্য ৫০০৪.০৫ কোটি বরাদ্দের জন্য।

কিন্তু এই বাজেটে কত বরাদ্দ হয়েছে তার চেয়ে বড় কথা কোন খাতে কত খরচ হয়েছে। মুসলিম ও দলিতদের নিয়ে গবেষণা করেন আমিরুল আলম। তিনি টিডিএন বাংলাকে জানান, গতবার সংখ্যালঘুদের জন্য কোন খাতে কত খরচ হয়েছে সেটা আগে জানানো দরকার। বাজেটে বরাদ্দ যা হয়েছে তা কি সঠিকভাবে খরচ হচ্ছে?

তবে শুধু তফসিলি বা সংখ্যালঘু উন্নয়ন নয়, সামগ্রিক বাজেট নিয়ে অসন্তুষ্ট ওয়েলফেয়ার পার্টি, বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস। বিজেপিও বাজেটের সমালোচনা করেছে। আবার আইএসএফের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ২০২২-২৩ সালের যে বাজেট পেশ হল তা সম্পূর্ণভাবে এক দিশাহীন বাজেট। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন যে এটা নাকি মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর বাজেট। আমরা মনে করি এটি মানুষকে কাঁদানোর বাজেট। ছত্রে ছত্রে অসত্য কথা বলা হয়েছে। বাজেটে শূন্যপদ পূরণের কোন কথা নেই। অথচ নানান সরকারী দফতরে সংখ্যাটি প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ। এই সরকার প্রায় সাড়ে ছয় লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে বসে আছে। টাকাগুলি যাচ্ছে কোথায়? শুধু মেলা, খেলা, বিজ্ঞাপন আর উৎসবে? দেওচা পাচামী নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অনেক বাগাড়ম্বর করেছেন। কিন্তু দেওচা পাচামী নিয়ে বাজেটে কোন স্পেশাল প্যাকেজ নেই। এই রাজ্যে ছোট-মাঝারি ব্যবসায়ীদের কোন সুরাহা নেই বাজেটে। পরিকাঠামো উন্নয়ন বা বড় শিল্প তৈরিতে গত ১১ বছরে এই সরকার কোন কাজই করেনি। নীল-সাদা রঙ বুলিয়ে শুধু মানুষকে ধাপ্পা দিয়ে চলেছে এই সরকার। গণপরিবহন ব্যবস্থা আজ শোচনীয় অবস্থায়। এই ব্যবস্থাকে সঠিকভাবে চালানোর জন্য কোন অর্থবরাদ্দ করা হয়নি বাজেটে।

ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট মনে করে এই বাজেট জনবিরোধী। শুধু নিজেদের পিঠ চাপড়ে রাজ্যসরকার দায় সেরেছে।’

Related Articles

Back to top button
error: