HighlightNewsআন্তর্জাতিক

আবারও ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তুরস্ক! নিহত ১ আহত অনেকেই

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: তুরস্কে আবারও ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। সোমবার দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর মালাতিয়ায় এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পে বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া একজন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় ভূমিকম্প কেন্দ্র (ইএমএসসি) বলেছে, তুরস্কের পূর্বাঞ্চলে রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এই ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার গভীরে। যদিও প্রাথমিকভাবে ইএমএসসি এই ভূমিকম্পের মাত্রা ৫ দশমিক ৫ ছিল বলে জানিয়েছিল। পরবর্তীতে তা সংশোধন করে ৫ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। তবে আফাদ বলেছে, ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে (৬ ফেব্রুয়ারি) তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে পরপর বড় দুটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পে দুই দেশ মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে শুধু তুরস্কেই ৪৪ হাজার ২১৮। আর সিরিয়ায় ৫ হাজার ৯১৪ জন।

ইয়েসিলিউর্টের মেয়র মেহমেত সিনার হ্যাবারতুর্ক টেলিভিশনকে বলেছেন যে, শহরের বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে, যার মধ্যে একটি চারতলা বিল্ডিং রয়েছে যেখানে বাবা ও মেয়ে আটকা পড়েছে। সিনার বলেন, তারা জিনিসপত্র সংগ্রহ করতে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে প্রবেশ করেছিলেন। টেলিভিশনের ছবিতে দেখা গেছে যে, লোকটিকে স্ট্রেচারে করে একটি অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, যখন উদ্ধারকারী দল ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের ভিতরে তার মেয়ের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে। আল জাজিরার তেরেসা বো, গাজিয়ানটেপ থেকে রিপোর্ট করছেন, ভূমিকম্পটি পূর্বের ভূমিকম্প দ্বারা বাস্তুচ্যুত হওয়ার পরে অস্থায়ী শিবিরে বসবাসকারী লোকেদের কাছেও অনুভূত হয়েছিল। ‘এখানেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল গাজিয়ানটেপের কেন্দ্রে, ঠিক যেখানে ৬ ফেব্রুয়ারিতে ভূমিকম্পে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তারা এখন তাঁবুতে বাস করছেন। এটা আবার ভয় ও যন্ত্রণার জন্ম দিয়েছে,’ বো বলেছেন।

ওই ভূমিকম্পে তুরস্কের ১১টি প্রদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ৮৪ হাজারের বেশি ভবন ধ্বংস হয়েছে। জাতিসংঘের উন্নয়ন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বিগত শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে দেড় কোটি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। তুর্কি কর্তৃপক্ষ আরও বলেছে, কমপক্ষে ৪ লাখ ১২ হাজার ইউনিট সম্বলিত ১ লাখ ১৮ হাজার ভবন ধসে পড়েছে কিংবা এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে, সেগুলো ভেঙে ফেলা ছাড়া উপায় নেই। সূত্র: আল-জাজিরা।

Related Articles

Back to top button
error: