কুরআন ও ইসলাম অবমাননার বিরুদ্ধে সোচ্চার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান, ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি ও কাতারের আমির শেখ তামিম
টিডিএন বাংলা ডেস্ক: জাতিসংঘের সম্মেলনে গিয়ে চিন্তার স্বাধীনতার (বাক স্বাধীনতা) নামে সারা বিশ্বে বিশেষ করে পশ্চিমা বিশ্বে কুরআন ও ইসলামী মূল্যবোধের অবমাননার বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান, ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি ও কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। তারা প্রত্যেকেই ভিন্ন ভিন্ন ভাবে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন এই ধরনের সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা পূর্ণ কর্মকাণ্ড কোনো ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
কিভাবে বাক স্বাধীনতার নামে অন্য কোনো ধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ বা ধর্মীয় নেতাদের নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ বা অবমাননা করা যায় সেই প্রশ্নও তুলেছেন তারা প্রত্যেকেই। তবে এটাই প্রথম নয় এর আগেও বাক স্বাধীনতার নামে ইসলাম ও কুরআন অবমাননার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন তারা। তবে এবার সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক সংস্থা জাতিসংঘের সম্মেলনে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করায় এর গুরুত্ব আরও বেশি বলেই মনে করা হচ্ছে।
সম্প্রতিক মাসগুলোয় সুইডেন ও ডেনমার্কে পবিত্র কুরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটে। দেশ দুটির প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই পবিত্র কুরআনের অনুলিপি পোড়ানো হয়। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান চিন্তার স্বাধীনতার (বাক স্বাধীনতা) নামে বিশ্বব্যাপী ২০০ কোটি মুসলমানের মূল্যবোধের ওপর আঘাত মেনে নেয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর সুইডেন ও ডেনমার্কে পবিত্র কুরআন অবমাননার নিন্দা জানান রাইসি।
এ সময় পবিত্র কুরআন মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসের অবমাননা করতে নিষেধ করেছে জানিয়ে বলেন, মহান আল্লাহর চেয়ে ভালো আর কে মানবতাকে সংজ্ঞায়িত করেছে এবং মানবীয় মর্যাদাকে সমুন্নত করেছে? কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে অন্যদের পবিত্রতা নিয়ে আপস করা বাকস্বাধীনতার অংশ হিসেবে দেখা উচিত নয়।
টিআরটি ওয়ার্ল্ডের খবর অনুযায়ী তুর্কি-আমেরিকান ন্যাশনাল স্টিয়ারিং কমিটি আয়োজিত একটি নৈশভোজে প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, ‘আমাদের কাছে এসব ঘটনা উসকানি। মানুষের মধ্যে তা উত্তেজনা বাড়ায়।পবিত্র গ্রন্থকে লক্ষ্য করে হিংসাত্মক কর্মকা-কে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হিসেবে দেখি আমরা। আগামীতেও আমরা বিষয়টাকে এভাবেই দেখবো।’
তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান কুরআনের ওপর নৃশংস হামলার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ না আটকানো গেলে অপরাধীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে।’ জাতিসংঘের অধিবেশনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, পশ্চিমারা ইসলামফোবিয়া ও বর্ণবাদকে মহামারি আকারে দেখছে। তাদের এসব কর্মকাণ্ড অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে।