জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াইয়ে নিহত দুই সেনাকর্তা ও পুলিশ, অন্যদিকে পুষ্পবৃষ্টিতে সংবর্ধিত প্রধানমন্ত্রী মোদী!

প্রতীকী ছবি

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: একদিকে জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগে জঙ্গি বিরোধী অভিযানে গিয়ে গুলিতে নিহত হয়েছেন দুই সেনা এবং এক পুলিশকর্তা। অন্যদিকে ওই একই দিনে জি২০ সম্মেলনের সাফল্য প্রচারে ব্যস্ত শাসকদল বিজেপি। মহা সমারোহে পুষ্পবৃষ্টি দিয়ে নয়াদিল্লিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় অফিসে সংবর্ধিত করা হচ্ছে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। আর সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনায় সরব হল বিরোধীদলীয় জোটের শরিক দল কংগ্রেস, তৃণমূল, আপ-এর মতো বিরোধী দলগুলি।

এই বিষয়ে তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে বলেন, “আমাদের শহিদদের জন্য এক মুহূর্তের নীরবতা নেই। অথচ প্রধানমন্ত্রী মোদীর জন্য গাঁদা ফুল রয়েছে। মোদীর হৃদয় পাথরে তৈরি।” তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে একটি পোস্টে লেখেন, “মোদী নির্লজ্জ ভাবে উদ্‌যাপন করছেন, আর আমাদের সাহসী বীরেরা তাঁদের জীবন উৎসর্গ করছেন। গত কাল জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগে আমাদের সাহসী ডিএসপি হুমায়ুন ভাট, মেজর আশিস ধনচক এবং কর্নেল মনপ্রীত সিংহ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জীবন দিয়েছেন। এই বীরদের জীবন উৎসর্গের খবর আসার পরেও প্রধানমন্ত্রী মোদী গত কাল বিজেপির সদর দফতরে গিয়ে জি২০-র জন্য উদ্‌যাপন করেছেন।”

জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর থেকেই ভূস্বর্গের দেশে শান্তি ফিরে এসেছে বলে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপি দাবি করে আসছে। সেই প্রসঙ্গ টেনে কংগ্রেস নেতা পবন খেরা বলেন, “এই সরকার শুধুমাত্র প্রচার অনুষ্ঠান আর খবরের শিরোনাম তৈরি করায় বেশি উৎসাহী। শান্তি তো কোনও প্রচার অনুষ্ঠানে ফেরানো যায় না, তার কোনও শিরোনামও হয় না। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা তো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পরিপূরক হতে পারে না। এটা ঘটনা যে, কাশ্মীরের পরিস্থিতি আদৌ স্বাভাবিক নয়।”