টিডিএন বাংলা ডেস্ক : রাশিয়ার বন্ধুরাষ্ট্র বেলারুশে শান্তি বৈঠকে রাজি হল ইউক্রেন। যদিও প্রথমদিকে এই আলোচনায় রাজি ছিল না তারা। কারণ বেলারুশ রাশিয়ার বন্ধুরাষ্ট্র। এই দেশের সীমান্ত পেরিয়েই ইউক্রেনে হামলা চালায় রুশ সেনা। ফলে বেলারুশে বৈঠক হলে তা কতটা নিরপেক্ষ হবে, তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। রবিবার ফের একবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক বসে। দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। মস্কো ও কিয়েভ বেলারুশের আলোচনায় বসতে রাজি হওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ভারত।
কেন ইউক্রেনের আচমকা মত বদল? ইউক্রেন সোজাসুজি কিছু না বললেও, এই ঘোষণার কয়েক মুহূর্ত আগে নিজের প্রতিরক্ষা বাহিনী কে পরমাণু যুদ্ধাস্ত্র তৈরি রাখার বার্তা দিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সাম্প্রতিককালে যা কোনও দেশকে যুদ্ধের সময় করতে দেখা যায়নি। সেই হামলার আশঙ্কাতেই ইউক্রেন সুর নরম করল বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
অন্যদিকে রবিবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা কাউন্সিল বৈঠকে বসলে রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তাব আনা হয়। ১১টি দেশ রাষ্ট্রসঙ্ঘের জরুরি অধিবেশনের স্বপক্ষে ভোট দেয়। ভারত কোন পক্ষের হয়ে ভোট দিতে অস্বীকার করে। ভারত ছাড়াও চিন এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহিও ভোটদান থেকে বিরত থাকে। সূত্রের খবর, সোমবার থেকে এই জরুরি অধিবেশন শুরু হতে পারে। ১৯৫০ সালে রাষ্ট্রসংঘ গঠনের পর এই নিয়ে ১১ বার জরুরি অধিবেশন আয়োজন করা হচ্ছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টি এস তিরুমূর্তি বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের শেষ বৈঠকের ইউক্রেনের পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। এটা দুঃখজনক। কূটনৈতিক আলোচনা ছাড়া কোনও পথ নেই। আজ রাশিয়া ও ইউক্রেন দুই দেশ বেলারুশে বৈঠকে বসছে। তাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।”