গৃহবন্দী রাষ্ট্রপতি ভিন মিন্ট, আং সান সু কি; সেনার দখলে মায়ানমার

ছবি সৌজন্যে আং সান সু কি-এর টুইটার পেজ।

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: মায়ানমারের ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির নেত্রী আং সান সু চি, রাষ্ট্রপতি ভিন মিন্ট সহ বেশ কয়েকজন শাসক-নেতাকে আজ ভোরে তাঁদের বাসভবন থেকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। বন্ধ করা হয়েছে মায়ানমারের সরকারি গণমাধ্যমের সম্প্রচার। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এক বছরের জন্য দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছে সেনাবাহিনী। মায়ানমারের রাজধানী নাইপিডো সহ দেশের সমস্ত বড় শহরগুলোতে টহল দিচ্ছে সেনা। বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে টেলিফোন ও ইন্টারনেটের সংযোগ।

প্রসঙ্গত, গত বছরের নভেম্বরে নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসে অংসান সুচির নেতৃত্বাধীন এনএলডি। ওই নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তোলে সেনাবাহিনী। ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই ফের মায়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানের আশঙ্কা করে এদিন শাসক দলের মুখপাত্র বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকার ও সেনার মধ্যে মতপার্থক্য তৈরি হয়। এর জেরেই এই ঘটনা বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, মায়ানমারে এক দশক আগে সেনাবাহিনীর শাসন ছিল। প্রায় ৫০ বছর ধরে শাসন করেছে সেনা। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে হওয়া সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয় এনএলডি। নবনির্বাচিত এই সরকারের আজই প্রথম সংসদ অধিবেশন হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তার আগেই, শাসক দলের নেত্রী আং সান সু চি-সহ অন্যান্য প্রথম সারির নেতাদের আটক করল সেনা। এই ঘটনার পর শাসক দলের মুখপাত্র মায়ো নান্ট রয়টার্সকে বলেন, “আং সান সু কি এবং রাষ্ট্রপতি ভিন মিন্টকে আটক করা হয়েছে। দেশবাসীকে বলচে চাই, তাড়াহুড়ো করবেন না। আইন মেনে কাজ হবে।” পাশাপাশি, তাঁর নিজেরও আটক হবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।

মায়ানমারের এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া সহ বেশ কয়েকটি দেশ। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে মায়ানমারের মতন প্রতিবেশী দেশে এ ধরনের ঘটনা ভারতের বিদেশনীতির সুরক্ষা এবং কূটনীতিতে প্রভাব প্রভাব ফেলতে পারে।