টিডিএন বাংলা ডেস্ক : হরিদ্বার ধর্ম সংসদে বিদ্বেষ ভাষণের বিপক্ষে সওয়াল করলেন নীতিন গড়করি৷ এ হিংসার বাণী হিন্দু ধর্মের নয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি৷ বিজেপি নেতা হয়েও এর বিরুদ্ধে তার অবস্থান অনেকের কাছেই আশ্চর্য ঠেকেছে৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি বলেছেন, হরিদ্বার বা দিল্লির সাম্প্রতিক ঘৃণাত্মক বক্তৃতাগুলিকে প্রত্যাখ্যান করা উচিত এবং গুরুত্ব দেওয়া উচিত নয়। এ ক্ষেত্রে আইনকে তার নিজস্ব গতিপথে চলতে দেওয়া উচিত বলে তিনি মতপ্রকাশ করেছেন৷ হরিদ্বার ঘৃণাত্মক ভাষণ মামলায় এখন পর্যন্ত মাত্র পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে মুসলিমদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নেওয়া এবং গণহত্যা করার প্রকাশ্য আহ্বান করা হয়েছিল।
গড়করি এদিন বলেন, স্বামী বিবেকানন্দ শিকাগোতে ধর্মীয় সম্মেলনে বলেছিলেন যে আমাদের ধর্ম সহনশীলতা, সরলতার উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত৷ আমাদের রাজারা কখনও কারো উপাসনালয় ভাঙেননি। আমরা সম্প্রসারণবাদী নই। আমরা ভালো চাই। প্রত্যেকের — বিশ্বের প্রতিটি জীবন্ত প্রাণীর। এটি আমাদের ঐতিহ্য এবং আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি৷ সুতরাং যদি কেউ এর বিরুদ্ধে যায় তবে তা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি নয়। এটিকে অস্বীকার করা উচিত এবং গুরুত্ব দেওয়া উচিত নয়৷
যেখানে ফাটল ও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করা হয় সেসব ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইনকে তার মতো চলতে দেওয়া উচিত। আমাদের সহনশীল থাকা উচিত, সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত, কারো অনুভূতিতে আঘাত করা উচিত নয় এবং সবাইকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত মোদির ‘সবকা সাথ’ স্লোগানকে সামনে রেখে৷
মুসলিম মহিলাদের ‘নিলাম’ করতে ব্যবহৃত বুল্লি বাই অ্যাপ সম্পর্কে তার মতামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, কিছু ব্যক্তির ক্রিয়াকলাপকে সমাজের প্রতিফলন হিসাবে নেওয়া উচিত নয়। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে৷ এ ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন প্রশাসনের পদক্ষেপের অভাব ঘৃণার পরিবেশকে জারি রাখার অনুমতি দিচ্ছে৷ এ নিয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে গড়করি বলেন, এটি ১০০ শতাংশ ভুল। আমরা কখনই এই ধরনের বৈষম্যকে সমর্থন করিনি। আমরা এটিকে স্বীকারও করি না, বা আমরা এটিকে সম্মান করি না। সূত্র- পুবের কলম পত্রিকা