UP Election: সাম্প্রদায়িক সংঘর্য লাগিয়ে হিন্দু ভোট এককাট্টা করাতে চায় তারা : বিজেপি প্রসঙ্গে অখিলেশ

ছবি সৌজন্যে অখিলেশ যাদবের ফেসবুক পেজ।

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। সেই উপলক্ষে এখন থেকেই জোর কদমে শুরু হয়ে গিয়েছে নির্বাচনি প্রপোগন্ডা। উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এসপি নেতা অখিলেশ যাদব বিজেপির বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সংঘর্য লাগিয়ে হিন্দু ভোট এককাট্টা করারা প্রচেষ্টা করার অভিযোগ তুললেন।

উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য বৃহস্পতিবার একটি টুইটে লেখেন, “অযোধ্যা আর কাশীতে মস্ত মন্দির তৈরি হচ্ছে, এর পরে পালা মথুরার।” তার এই টুইট নিয়ে উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে বিস্তর হইচই শুরু হয়েছে। বাবরি মসজিদ ভাঙার সময় থেকে হিন্দুত্ববাদীরা একটি স্লোগান দেওয়া শুরু করে ছিল যে, “ইয়ে তো স্রিফ ঝাঁকি হ্যায়, কাশী-মথুরা বাকী হ্যায়!’ (অর্থাৎ এটা তো কেবলই একটা ঝাঁকুনি মাত্র, এর পরে কাশী ও মথুরাতেও মন্দির বানানো হবে)। ৬ ডিসেম্বরের দিনে বাবরি মসজিদ ধ্বংস কারা হয়। তার ঠিক ক’দিন আগেই রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রীর এই টুইট স্বভাবিক ভাবেই বিতর্ক সৃষ্টি করছে। এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই অখিলেশ মন্তব্য করেন, “মৌর্যের এই টুইট প্রমাণ, ভোটের আগে বিষয়টি নিয়ে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে বিজেপি। সাম্প্রদায়িক সংঘর্য লাগিয়ে হিন্দু ভোট এককাট্টা করাতে চায় তারা।”

ললিতপুরের একটি নির্বাচনী জনসভায় অখিলেশ যাদব আরও বলেন, “এখন হিন্দু-মুসলমান করছে বিজেপি। ভাবছে, এ ভাবেই ভুলিয়ে দেওয়া যাবে— কী ভাবে হাজার হাজার কিলোমিটার পায়ে হেঁটে ঘরে ফিরতে হয়েছে শ্রমিক ভাইদের। আমাদের সরকার থাকলে ওঁদের জন্য বাসের ব্যবস্থা করত। আর বিজেপি সরকার সীমানায় ব্যারিকেড দিয়ে তাঁদের রাজ্যে ঢোকা আটকেছিল। গোয়ালঘর খুলে দিয়েছিল ভিন্ রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের নিভৃতবাসের জন্য! মানুষ ভোটের বাক্সে এ সবের জবাব দেবেন।” এছাড়া এ দিন বিএসপি নেত্রী মায়াবতীও মৌর্যের ওই টুইটের তীব্র প্রতিক্রীয়া দেখিয়ে বলেন, “হিন্দু-মুসলমান বিজেপির হাতের শেষ অস্ত্র। এই অস্ত্র প্রয়োগ করে ফেলায় প্রমাণ হল, উত্তরপ্রদেশে হার যে নিশ্চিত বুঝেছে তারা। তবে এ বার আর ওই অস্ত্রে কাজ হবে না!”

অন্যদিকে বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের সহারনপুরে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “কত কথা অখিলেশ বলেছিলেন! বাঁকা সুরে স্লোগান দিতেন, ‘মন্দির ওহি বানায়েঙ্গে/ লেকিন তিথি নহি বতায়েঙ্গে!’ কিন্তু আমরা তাঁদের দেখিয়ে দিয়েছি। গোটা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছি।” এছাড়া তিনি আরও বলেন, “আগের আমলে মাফিয়ারাই সরকার চালাত। এখন ওরা আবার বলছে, রাজ্যে নাকি আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। যেন কত আইন-শৃঙ্খলা ছিল ওদের আমলে! আমার কাছে তথ্য আছে, যোগীর আমলে উত্তরপ্রদেশে অপরাধের সংখ্যা ৬০ শতাংশ কমে গিয়েছে।”