নিজস্ব সংবাদদাতা, টিডিএন বাংলা : কয়েকদিন আগেই উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে অনুষ্ঠিত ‘ধর্ম সংসদ’ থেকে প্রকাশ্য মুসলিমদের হত্যা করার ডাক দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এর প্রতিবাদে বুধবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে একটি সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে ‘ধার্মিক জনমোর্চা’ নামে একটি সংগঠন। এই সাংবাদিক সম্মেলন থেকে বিভিন্ন ধর্মগুরুরা উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের এই ধরনের মুসলিম গণহত্যার আহব্বানের তীব্র ভাষায় নিন্দা করা হয়। এদিন ‘ধার্মিক জনমোর্চা’ নেতৃবৃন্দ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির নিশ্চুপ থাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বৌদ্ধ ধর্মগুরু ড. অরুণজ্যোতি ভিক্ষু, রাজ্য জামাআতে ইসলামি হিন্দের সভাপতি মাওলানা আবদুর রফিক, শিখ ধর্মের প্রতিনিধি তাসনিম সিং, রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামী প্রমানন্দগিরি মহারাজ, মাওলানা শাদাব মাসুম, খ্রিস্টান ধর্মগুরু ফাদার ফ্রান্সিস সিং প্রমুখ।
জামায়াতে ইসলামী হিন্দের রাজ্য সভাপতি মাওলানা আব্দুর রফিক সাহেব বলেন, “হিন্দু ধর্ম শঙ্কটে আছে এই ধরনের হিন্দুত্ববাদী ভন্ড ধর্মীয় নেতাদের জন্যই, মুসলিমদের জন্য নয়।” তিনি আরো বলেন, “রামের নামে গণপিটুনি, হত্যা রামের মহত্ত্ব বাড়ায় না বরং তার নামকে কলঙ্কিত করে। এতে হিন্দু ধর্মেরই অপমান হয়।”
অরুণজ্যোতি ভিক্ষু হরিদ্বার ধর্ম সংসদ বিদ্বেষী ভাষণদান প্রসঙ্গে বলেন, “এটা যদি কোনো মুসলিম বলতেন তাহলে দেশে দাঙ্গা লেগে জেত।” তিনি আরও বলেন, “দেশের শান্তি- সম্প্রীতি ভঙ্গকারী শক্তির বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে। কোনও ধর্মেই হিংসার কথা নেই, অথচ কিছু মানুষ এটা ইচ্ছাকৃত ভাবে করতে চাইছে। দেশের যে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের পরিবেশ আছে তা হিন্দু-মুসলিম-শিখ-বৌদ্ধদের সম্মিলনের জন্যেই হয়েছে।”