তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন বরুণ?

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : নির্বাচনের আগে দলের মাটি শক্ত করতে চায় তৃণমূল। সেইজন্য কখনও গোয়া, কখনও আবার ত্রিপুরাতে ছুটছেন দলের প্রথম সারির নেতাকর্মীরা। গত সপ্তাহে গোয়া থেকে ফিরেছেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী সপ্তাহে ফের তিনি যাচ্ছেন দিল্লিতে। তাঁর সেই সফরে থাকছে চমক। সূত্রের খবর, মমতার ওই সফরেই তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিতে পারেন বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধি। যা নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র জল্পনা।

বাংলায় বিধানসভা ভোটের আগে দলেদলে সবাই গিয়ে মিশেছিল গেরুয়া শিবিরে। প্রতিদিনই তৃণমূলের জনপ্রিয় নেতাদের পদ্ম শিবিরের হেভিওয়েটদের থেকে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিতে দেখা গেছে। ভোট মিটতেই মোহভঙ্গ। ঝাঁকের কই দলে দলে ঝাঁকে গিয়েই মিশেছে। এখনও যারা পতাক বদল করেননি, তাঁদের ঘাসফুলে প্রত্যাবর্তন এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সম্প্রতি মমতার গোয়া সফরে তৃণমূলে যোগ দেন টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজ। সামনেই দিল্লি যাওয়ার কথা মমতার। সেই সফরেও চমক থাকবে কীনা, তা অবশ্য দলের তরফে স্পষ্ট করা হয়নি। তবে দলের এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, বিজেপির ওপর রুষ্ট যেসব নেতা, হয়তো তাঁরা আর কংগ্রেসে ফিরতে পারবেন না। তাঁরা সকলেই তৃণমূলে যোগ দিতে চাইছেন।

রাজনৈতিক মহল বলছে, বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধি দলের ওপর বেজায় চটে। তাঁকে ও তাঁর মা মানেকা গান্ধিকে জাতীয় কর্মসমিতি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি লখিমপুর হিংসার পর কৃষক হত্যার নিন্দা করেছিলেন বরুণ। এমনকী গান্ধির হত্যাকারী নাথুরাম গডসেরও নিন্দা করেছিলেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে পিলভিটের ৩ বারের বিক্ষুব্ধ সাংসদ হয়তো দল ছাড়তে পারেন। নতুন রাজনৈতিক দল হয়তো তিনি করবেন না। আবার কংগ্রেসে যাওয়ার সম্ভাবনাও নেই। তাহলে বিকল্প থাকছে তৃণমূল। ফলে মমতার দিল্লি সফরের সময় বরুণের ঘাসফুলে যোগ দেওয়ার প্রবল সম্ভাবনা দেখছে রাজনৈতিক মহল। পাশাপাশি তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন জেডিএস থেকে বিএসপিতে যোগ দেওয়া দানিশ আলি।