জনবিরোধী বিদ্যুৎ (সংশোধনী) বিল-২০২১ সংসদে পাশ না হতে দেওয়ার আবেদন ওয়েলফেয়ার পার্টির

নিজস্ব প্রতিনিধি, টিডিএন বাংলা, কলকাতা: চলমান সংসদের বাদল অধিবেশনে জনবিরোধী বিদ্যুৎ (সংশোধনী) বিল-২০২১ পাশ না হতে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে রাজ্যের সাংসদদের জরুরী আবেদন জানালো ওয়েলফেয়ার পার্টি অফ ইন্ডিয়া।

সারা দেশব্যাপী চলা লকডাউনের মধ্যেই রাজ্যের ক্ষমতা হ্রাস করে ভবিষ্যতে এক তরফা বেসরকারীকরণের দিকে ঝুঁকতে সম্প্রতি কেন্দ্র সরকার বিতর্কিত “বিদ্যুৎ (সংশোধনী) বিল-২০২১” চলমান সংসদের বাদল অধিবেশনেই পাশ করবার জন্য সবরকম প্রচেষ্টা চালাতে চলেছে।

আর সেই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে রাজ্যের সমস্ত বিজেপি বিরোধী সাংসদদের মেইল করে এই বিলের বিরোধিতা করবার আবেদন জানালেন ওয়েলফেয়ার পার্টি অফ ইন্ডিয়া-র রাজ্য সভাপতি শ্রী মনসা সেন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি কেন্দ্র সরকার ২০০৩ সালের বিদ্যুৎ আইনের সংশোধনী হিসাবে যে খসড়া “বিদ্যুৎ (সংশোধনী) বিল ২০২০” পেশ করেছে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে ইতিপূর্বেই আবেদন জানিয়েছিল ওয়েলফেয়ার পার্টি অফ ইন্ডিয়া-র রাজ্য শাখা।

শ্রী মনসা সেন আশঙ্কা ব্যক্ত করে বলেন, “যেখানে ভারতের সংবিধান বিদ্যুৎ বন্টন ব্যবস্থাকে যুগ্ম তালিকায় রেখেছে, সেখানে এই প্রস্তাবিত “বিদ্যুৎ (সংশোধনী) বিল ২০২০” কার্যকর হলে রাজ্যের বর্তমানে বিদ্যুৎ বন্টনের ক্ষেত্রে যেটুকু নিয়ন্ত্রণ রয়েছে সেটাও আর থাকবে না । এই খসড়া বিলে ইলেক্ট্রিসিটি কন্ট্রাক্ট এনফোর্সমেন্ট অথরিটি নামক একটি আধা-বিচারবিভাগীয় সংস্থা প্রতিষ্ঠার উল্লেখ করা হয়েছে যা বর্তমান রাজ্য রেগুলেটরি কমিশন এর ক্ষমতাকে হ্রাস করবে এবং কেন্দ্রীয়ভাবে বিদ্যুৎ ক্রয় ও বন্টন ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করবে ।”

বিশেষজ্ঞদের মতে এভাবে নতুন বিল কার্যকর হলে রাজ্যের অনুমতির পরোয়া না করেই সাব লাইসেন্স ও ফ্রাঞ্চাইজি বন্টনের কাজ চলবে এবং কালক্রমে বিদ্যুৎ এর মাশুল বাড়ার সাথে সাথে সাধারণ দরিদ্র মানুষ থেকে চাষীরা আগামীতে দারুনভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হবে। যার কারণেই জনস্বার্থে রাজ্যের সমস্ত বিজেপি বিরোধী সাংসদদের কাছে জরুরী ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকারের এই বিদ্যুৎ(সংশোধনী) বিল ২০২১ এর বিরোধীতা করার আবেদন জানালো দলটি বলে মনে করা হচ্ছে।

ওয়েলফেয়ার পার্টির রাজ্য সভাপতি শ্রী মনসা সেন গতকাল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, বাংলা বনাম ত্রিপুরা, বিজেপি বনাম তৃণমূল এর যে রাজনীতি চলছে, তা দেশের ও জনগণের কি কল্যাণ করবে? জনগণের জন্য রাজনীতি হলে এই দৃশ্য দেখতে হতো না। বাংলার নির্বাচন পরবর্তী প্রতিহিংসার রাজনীতি চলছে ত্রিপুরায়। জনগণ রাজনীতি সচেতন। ঠ্যাঙ্গাড়ে দিয়ে রাজনীতি দুটি দলই করছে। গণতন্ত্রের নামে শপথ নেব আবার বিরোধী দলকে সহ্য করবো না এটা হতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।