টিডিএন বাংলা ডেস্ক : ডেল্টার ধাক্কা কাটতে না কাটতেই, নতুন আতঙ্ক ওমিক্রন। যার ঠেলায় রাতারাতি ঘুম উড়েছে বিশ্ববাসীর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছে, এই প্রজাতি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ২৪ নভেম্বর প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকায় এই প্রজাতির উপস্থিতির কথা জানা যায়। তারপর মাত্র পাঁচ দিনে ১৩টি বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাসের এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট। এক নজরে দেখে নেব নতুন আতঙ্কের খুঁটিনাটি।
ওমিক্রন কী?
করোনা বারবার রূপ বদলাচ্ছে। জিন বিন্যাসে পরিবর্তনের জেরে নতুন নতুন প্রজাতি দেখা যাচ্ছে। আলফা, বিটা, কাপ্পা ও ডেল্টার মত এটিও করোনার আরও একটি প্রজাতি। এই প্রজাতির নাম বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রেখেছে ওমিক্রন।
কোথায় জন্ম?
গত ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় ধরা পড়ে এই প্রজাতি। ১০টি ওমিক্রন সেখানে ধরা পড়ার পরেই ৩টি কেস বতসোয়ানায় এবং একটি কেস হংকংয়ে দেখা যায়। নেদারল্যান্ড, গ্রেট ব্রিটেন, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক ও অস্ট্রেলিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছে এই নয়া অবতার।
কতটা ঝুঁকিপূর্ণ?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওমিক্রন অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। রোগ ছড়ানোর ক্ষমতা ডেল্টার থেকে অনেক বেশি। এতদিন ডেল্টায় সংক্রমিত একজন ব্যক্তি ৫ থেকে ৬জনকে সংক্রমিত করতে পারত। সেখানে এই প্রজাতিতে আক্রান্ত একজন অন্তত ১০-৩০ জনের শরীরে ছড়াতে পারে।
আগের থেকে ফারাক কোথায়?
বিস্তর ফারাক, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। স্পাইক প্রোটিনের এত অভিযোজন আগের কোনও রুপভেদের ক্ষেত্রে দেখা যায়নি।
টিকা কতটা সুরক্ষা দেবে?
ওমিক্রনের ইমিউনিটিকে ফাঁকি দেওয়ার ক্ষমতা আছে। কারও শরীরে অসুখ বা টিকার দৌলতে প্রাপ্ত করোনার অ্যান্টিবডি থাকলেও, তা নয়া ভ্যারিয়েন্টকে নাও চিনে উঠতে পারে। ফলের টিকা নেওয়া ব্যক্তিরাও আক্রান্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।