পেগাসাস কী? কী ভাবে কাজ করে এই সংস্থা?

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : মাত্র ১৮ মাসের ব্যবধান। এরই মধ্যে ফের শিরোনামে ‘পেগাসাস’। দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমের দাবি, এই স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে কান পাতা হয়েছে বিভিন্ন ভিভিআইপিদের ফোনে। এখন প্রশ্ন হলো কীভাবে কাজ করে পেগাসাস।

পেগাসাস কী?
এটি একটি ইজরায়েলের হ্যাকিং সফটওয়্যার। সে দেশের সংস্থা NSO গ্রুপ এটি তৈরি করে। টাকার বিনিময়ে এই সংস্থা বিভিন্ন দেশের সরকারকে এই সফটওয়্যার ব্যবহারের লাইসেন্স দেয়।

পেগাসাস ব্যবহার করে কী কী হ্যাক করা সম্ভব?
যার ক্ষেত্রে এই সফটওয়্যার ব্যবহার করা হবে তার যাবতীয় তথ্য হ্যাকিং করা সম্ভব। পাশাপাশি এনক্রিপটেড হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজও জানতে পারবেন নিমেষেই।

কীভাবে এই কারচুপি করা হয়?
টার্গেটেড ফোনে একটি ওয়েবসাইট লিঙ্ক পাঠানো হয়। যাদের ফোনে সেই লিঙ্ক পাঠানো হয়েছে, সেই লিঙ্ক খুললেই তার ফোনে অজান্তেই ২৪x৭ নজরদারি শুরু করে দেয় পেগাসাস। হোয়াটসঅ্যাপে ভয়েস মেসেজের মাধ্যমেও তা পাঠানো যেতে পারে। যাদের ফোনে আড়িপাতা হচ্ছে, তারা কার কার সঙ্গে কথা বলছেন, কী মেসেজ আসছে, ফোনের মাইক্রোফোন, ক্যামেরা সবই নিয়ন্ত্রণ করে এই সফটওয়্যার।

ফাঁস হওয়া তথ্যটি প্যারিসের একটি সংস্থা ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিশ্লেষণ করেছে। তারাই ওয়াশিংটন পোস্ট, গার্ডিয়ান সহ বিশ্বের একাধিক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে ওই তথ্য শেয়ার করে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোট পর্যন্ত এই কান পাতার পর্ব চলে। এরপরই মোদি সরকার নাগরিকের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে বলে প্রশ্ন উঠে। তাহলে কি সরকারের বিরুদ্ধে মত পোষণ করা সমাজকর্মী, সাংবাদিক, আমলা মন্ত্রীদের বেছে-বেছে টার্গেট করা হয়? বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, এই ঘটনা এলগার পরিষদের উপর সরকারের নজরদারিকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। যে সমস্ত ফোনে কান পাতা হয়েছে, তাদের মধ্যে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রফেসর কথা মোদির সমালোচক সৈয়দ গিলানি এবং সৌদি আরবের নিহত সাংবাদিক জামাল খাশোগির স্ত্রী এর নম্বরও রয়েছে। যদিও এই পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেছে মোদি সরকার।