টিডিএন বাংলা ডেস্ক : বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের পর এবার প্রশ্ন বাকি বহুচর্চিত বিতর্কিত বিষয় নিয়ে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) সহ জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত এখনও ঝুলেই। এই দুটি ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের অবস্থান কী হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে।
নয়াদিল্লিতে বিজেপি সূত্রে দাবি, সিএএ বা জম্মু-কাশ্মীরের মতো বিষয়ে রাতারাতি কোনও সিদ্ধান্ত নাও নিতে পারে নেতৃত্ব। কারণ সামনে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন। সেখানে ভোটবাক্সে সিএএ এবং জম্মু-কাশ্মীর বড় ইস্যু হবে না। ২০১৯ সালে সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল পাস করিয়ে ছিল মোদি সরকার। আইন তৈরি হলেও তা প্রয়োগের জন্য যে বিধি জারি করা প্রয়োজন, সিএএ-র ক্ষেত্রে তা আজও করা হয়নি। ফলে আইনটি বলবৎ করা যায়নি। সূত্রের খবর, সিএএ লাগু করলে বা না করলে রাজনৈতিকভাবে তার খেসারত মোদি সরকারকে কতটা দিতে হতে পারে, তার আঁচ করতে পারে নি গেরুয়া শিবির। নাগরিকত্ব আইনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় ভালো ফল করেছিল বিজেপি। বিশেষ করে মতুয়াদের বড় সমর্থন পেয়েছিল তারা। কিন্তু বাংলার বিধানসভা ভোটে সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনি সিএএ। তাই কবে থেকে এটি লাগু হবে তা নির্দিষ্ট ভাবে জানাতে পারেনি বিজেপির শীর্ষ নেতারা।
সিএএ-র মতো এনআরসি বিজেপি এবং কেন্দ্রের সিদ্ধান্তহীনতা প্রকাশ্যে এনেছে। একমাত্র বিজেপি শাসিত অসমে নাগরিক পঞ্জির তালিকার খসড়া প্রস্তুত। তারপর আর সেই বিষয়টা নিয়েও তেমন হেলদোল দেখায়নি বিজেপি। জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পরে উপত্যকাকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয়। জম্মু-কাশ্মীরকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে, কেন্দ্র সেই আশ্বাস দিয়েছে বহুবার। কিন্তু এখনও সেই সিদ্ধান্ত ঘোষণাই করতে পারেনি মোদি সরকার।