টিডিএন বাংলা ডেস্ক : করোনার তৃতীয় ঢেউ-এর ঝাপটা দেশের কোথায়, কবে হবে? তার ব্যাপকতা কতটা হতে পারে? এইসব প্রশ্নের উত্তর দিতে এসে গেল ‘প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ক্যালকুলেটর’। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ এবং ব্রিটেনের ইমপেরিয়াল কলেজ অব লন্ডন যৌথ উদ্যোগে এই প্রযুক্তি এনেছে।
প্রশ্ন হল, এটি কীভাবে কাজ করবে?এটি এক ধরনের ক্রমিক প্রোগ্রামিং মডেল। বিভিন্ন রাজ্যের কাছ থেকে কিছু প্রাথমিক তথ্য পেলেই করোনার পরবর্তী পর্যায়ের পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব। এমনই জানিয়েছেন আইসিএমআর-এর মহামারীবিদ্যার প্রধান ডাঃ সমীরণ পাণ্ডা।
এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে যে কোনও রাজ্য সরকার করোনা মোকাবিলার ৯০ শতাংশ প্রস্তুতিই সেরে ফেলতে পারবে। যেমন সাধারণ বেড কত লাগবে, কত আইসিইউ বেড, ক’জন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী দরকার, অক্সিজেন ও ভেন্টিলেটর কত লাগতে পারে ইত্যাদি।
পূর্বাভাস দিতে ইতিমধ্যেই এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে হিমাচল প্রদেশের সঙ্গে তথ্য বিনিময় শুরু করেছে আইসিএমআর। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক এখন এই প্রযুক্তির ‘ট্রায়াল রান’ করছে।
মূলত কয়েকটি বিষয়টি মাথায় রেখে করোনার পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব। প্রথম ঢেউয়ে নির্দিষ্ট ওই রাজ্যে কতজন আক্রান্ত হয়েছিলেন? দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব কেমন ছিল? নতুন কোনও স্ট্রেইন আছে কীনা? বর্তমান কোভিড ভাইরাসটি কতটা সংক্রামক? এর ভিত্তিতেই সংশ্লিষ্ট রাজ্যকে একটি রেখাচিত্র বা গ্রাফ দিয়ে দেওয়া সম্ভব।