ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র গতিবিধি ও প্রভাব কোথায় কেমন? কলকাতায় শুরু ভারি বৃষ্টি, বাংলার তিন জেলায় বাড়তি সতর্কতা

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : গতকাল সন্ধ্যায় তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে অশনি। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর থেকে ২১ কিমি বেগে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়। আজ সকালের মধ্যে তা পুরী ও বিশাখাপত্তনমের উপকূলের আরও কাছে পৌঁছে গিয়েছে। মঙ্গলবার থেকে ওড়িশার দিকে ঘুরবে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র গতিপথ। খুব দ্রুত উপকূলের খুব কাছে পৌঁছে যাবে। কিন্তু স্থলভাগে আছড়ে পড়বে কি? আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যেই উপকূল স্পর্শ করবে অশনি আগাম সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। তবে ঘূর্ণিঝড় মঙ্গলবার আদৌ স্থলভাগে ঢুকবে কি না সে ব্যাপারে নিশ্চিন নন আবহবিদেরা। ইতিমধ্যেই ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের জেলাগুলিতে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এদিকে আজ সকাল থেকেই তুমুল বৃষ্টি শুরু হল কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশকিছু জেলায়। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের তিন জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলোতে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত চলবে বৃষ্টি। বুধবার, বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। অন্যদিকে আস্তে আস্তে দক্ষিণবঙ্গের ওপরের জেলাগুলিতে এবং উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। ১০ মে রাত পর্যন্ত এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে থাকবে এবং তা পশ্চিম-মধ্য এবং সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশা উপকূলের কাছে পৌঁছে যাবে। এরপরেই চা উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ওড়িশা উপকূলের সমান্তরালে চলতে থাকবে। আগামীকাল থেকে মত্‍স্যজীবীদের সমুদ্রে না যাবার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মত্‍স্যজীবীদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, আজ সন্ধ্যার মধ্যে তাঁরা যেন উপকূলে ফিরে যান। ১০-১২ মে-র মধ্যে একদিকে যেমন মত্‍স্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে, ঠিক তেমনই সমুদ্র উপকূলের পর্যটক কেন্দ্রগুলিকেও বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।