টিডিএন বাংলা ডেস্ক : পাঞ্জাবের কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে? চরণজিৎ সিং চান্নি নাকি নভজোৎ সিং সিধু? সেই জল্পনা জিইয়ে রেখে দুই হেভিওয়েটকেই প্রার্থী করল কংগ্রেস।
তারা দু’জনেই তাদের পুরনো কেন্দ্রে প্রার্থী হচ্ছেন। এই দুজন ছাড়া তালিকায় উল্লেখযোগ্য নাম দুই উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুখজিন্দর সিং রণধাওয়া ও ওম প্রকাশ সোনি। প্রার্থী হয়েছেন বলিউড অভিনেতা সোনু সুদের বোন মালবিকা। আগে শোনা যাচ্ছিল
চান্নিকে ২টি আসন থেকে প্রার্থী করতে পারে কংগ্রেস। তবে তাকে চামকৌর সাহিব আসন থেকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। ২০০৭-১৭ টানা তিনবার বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকেই জিতেছেন কংগ্রেসের দলিত নেতা। অন্যদিকে সিধুকে এবার প্রার্থী করা হয়েছে অমৃতসর পূর্ব বিধানসভা আসনে। ২০১৭ সালে প্রথম এই কেন্দ্র থেকে জিতে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং সরকারে মন্ত্রী হয়েছিলেন।
২০০৪, ২০০৭ এর উপনির্বাচন এবং ২০০৯ সালে পরপর তিনবার অমৃতসর থেকে লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছেন সিধু। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে তা নিয়ে জট কাটেনি। সিধু নিজে মুখ্যমন্ত্রী হতে চান। এটা কারও অজানা নয়। অন্যদিকে চান্নি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। তাছাড়া তিনি দলিত মুখ। রাজ্যের মোট ভোটের ৪০% দলিত। পাঞ্জাবের রাজনীতি এতদিন মোটের উপর নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন উচ্চবর্ণের জাট শিখরা। সিধু সেই জাঠ শিখ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। স্বাভাবিকভাবেই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবেন, তা নিয়ে দ্বিধা-বিভক্ত কংগ্রেস। ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোট পাঞ্জাবের ১১৭টি আসনে। পঞ্চনদের তীরে লড়াইটা এবার চতুর্মুখী। কংগ্রেসকে গদিচ্যুত করতে মাঠে নামছে আম আদমি পার্টি, শিরোমনি অকালি দল ও বিএসপি জোট। রয়েছে সদ্য কংগ্রেস ত্যাগী অমরিন্দর সিংয়ের পাঞ্জাব লোক কংগ্রেস এবং বিজেপি জোট। তবে লড়াইটা মূলত হবে কংগ্রেস এবং আপের মধ্যে। ক্ষমতা দখল কে করবে, উত্তর মিলবে ১০ মার্চ।