টিডিএন বাংলা ডেস্ক : একটিমাত্র সোর্সের খবর। তার ভিত্তিতে এত বড় অপারেশন! বিনা অপরাধে ১৫টি প্রাণ গেছে নাগাল্যান্ডে। তারপর থেকে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। একটি মাত্র সোর্সের খবরে কেন অত বড় অপারেশন করা হলো? সেই সোর্সের খবর ঠিক, তা কেন যাচাই করা হলো না আরও দু’তিনটি মাধ্যম থেকে। উঠছে প্রশ্ন।
প্রশ্নের এখানেই শেষ নয়। সেনার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্নের অবকাশ থাকছে। কারণ উত্তর-পূর্বের মতো এলাকায় অন্তত ৭০টি সশস্ত্র জঙ্গি এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী সক্রিয়। অনেক সময় জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো তাদের সোর্সের মাধ্যমে ভুল তথ্য সেনার কানে পৌঁছে দেয়। যাতে তাদেরকে ফাঁদে ফেলা যায়। পাশাপাশি উঠে আসছে প্রতিহিংসার তত্ত্ব। সম্প্রতি মনিপুরে জঙ্গি হামলায় সপরিবারে খুন করা হয় অসম রাইফেলসের খুগা ব্যাটেলিয়ানের কমান্ডিং অফিসার বিপ্লব ত্রিপাঠীকে। তারপর থেকেই অসম রাইফেলস উত্তর-পূর্ব ভারতে জঙ্গি দমনে বিশেষ সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অনেকের দাবি। ফলে প্রশ্ন উঠছে, কারা ওই অপারেশন চালালো? কেন এই নিয়ে বাহিনীর তরফে স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হচ্ছে না? অপারেশন কি আদৌ অসম রাইফেলস করেছে? কারণ রবিবার স্বরাষ্ট্র কমিশনার অভিজিৎ সিনহাকে উদ্ধৃত করে একটি নাগা নিউজ চ্যানেলে দাবি করা হয়, সেনা প্যারা স্পেশাল ফোর্স এই অপারেশন চালায়।
বিতর্ক আরও রয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, প্রথমেই কেন গুলি চালানো হলো? যে গাড়িতে গুলি করা হয়, সেখানে কোনও অস্ত্র পাওয়া যায়নি বলে দাবি উঠেছে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কেন জওয়ানরা আগে গাড়ি ঘিরে পরীক্ষা করলেন না? কেনই বা আত্মসমর্পণের কথা বলা হলো না? আপাতত এইসব প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে নাগাবাসীদের মধ্যে। স্থানীয় হর্নবিল উৎসব শুরু হয়েছে নাগাল্যান্ডে। একাধিক নাগা জনগোষ্ঠী এইসব উৎসব থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে। উপজাতি গোষ্ঠী গুলির একটি সংগঠন আজ বনধের ডাক দিয়েছে।