টিডিএন বাংলা ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন জেলে বিনা বিচারে বন্দি রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। তবে এবার তাদের মুক্তির আবেদনে সাড়া দিল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে মতামত জানানোর নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রকে নিয়ে গঠিত সুপ্রিম বেঞ্চ।
‘বিনা বিচারে অবৈধ ভাবে জেলবন্দি’ রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। তাদের মুক্তির জন্য সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানিয়েছিলেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। শুনানিতে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ জানান, মায়ানমার থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীরাও ভারতীয় সংবিধানের ১৪ এবং ২১ নম্বর ধারা অনুযায়ী জীবন এবং ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকারী। ওই আবেদনের জেরে সুপ্রিম কোর্ট চার সপ্তাহের মধ্যে নরেন্দ্র মোদী সরকারের জবাব তলব করেছে।
২০১৭ সালে এমনই একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে একটি হলফনামা পেশ করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। সেই হলফনামায় স্পষ্ট বলা হয়েছিল, ভারতে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের সঙ্গে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলির যোগসাজশ রয়েছে, যা দেশের নিরাপত্তার প্রশ্নে ঝুঁকির।
২৫ আগস্ট ২০১৭ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগণ চাপের মুখে জোরপূর্বক দেশত্যাগে বাধ্য হয়। তারা মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর হাতে সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচার জন্য পালিয়েছিল। তাদের মধ্যে কেউ কেউ এই অঞ্চল জুড়ে পালিয়ে গেলেও তাদের বেশির ভাগই অস্থায়ীভাবে বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় বসবাস শুরু করে।
এটি বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য একটি ট্র্যাজেডি যে, ছয় বছর পূর্ণ হওয়ার পরও আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা এবং মায়ানমারকে তাদের প্রত্যাবাসনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করার অনুরোধ সত্ত্বেও সমস্যাটি মেটেনি। এতদিনেও মিয়ানমার একজন রোহিঙ্গাকেও তাদের দেশে ফিরে যেতে দেয়নি, অথবা নেয়নি। সূত্র – পুবের কলম পত্রিকা