সিডব্লুসি-র বৈঠকে কেন নীরব কংগ্রেসের জি-২৩ নেতারা?

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : শনিবার মিটেছে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। সেই বৈঠকে সুর নরম দলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর ২৩ জন নেতার। কেন এমন হলো? আকবর রোডের বৈঠকের পর দু’দিন কেটে গেলেও এখনও রাজনৈতিক মহলে ঘুরপাক খাচ্ছে সেই প্রশ্ন। কংগ্রেসের স্থায়ী সভাপতি পদের নির্বাচন হবে পরের বছর সেপ্টেম্বরে। কিন্তু বিক্ষুব্ধ ২৩জন নেতা দাবি করে আসছেন দ্রুত একজন স্থায়ী সভাপতি চান তারা। এখন প্রশ্ন হলো, এই ১১ মাস বিদ্রোহীরা কী করবেন? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই চলতি সপ্তাহে বৈঠকে বসতে পারেন জি-২৩ নেতারা। সেই বৈঠকে আগামী এক বছরের রণনীতি তৈরি করাই তাদের প্রধান উদ্দেশ্য হতে চলেছে। রবিবার অবশ্য বিক্ষুব্ধ এক নেতা বলেন, তারা তাদের দাবি থেকে মোটেও সরে আসছেন না। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে দলের জনভিত্তি ফিরিয়ে নিয়ে এসে ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে দলকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে তাদের যে অবস্থান ছিল, সেই অবস্থানে কোনও পরিবর্তন হয়নি। এতদিন যে দাবিতে সরব ছিলেন বিক্ষুব্ধ নেতারা, শনিবারের বৈঠক বেশ কিছুটা সুর নরম। সূত্রের খবর, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলট বৈঠকে রাহুল গান্ধিকে দলের পরবর্তী সভাপতির দায়িত্ব ভার গ্রহণ করার প্রস্তাব দেন। ১০ জনপথ ঘনিষ্ঠ নেতাদের মতই ওই প্রস্তাবে সমর্থন জানান জি-২৩ নেতারাও। কেন এমন আচরণ? তার সম্ভাব্য কারণ ব্যাখ্যা করেছেন সোনিয়া ঘনিষ্ঠ এক প্রথম সারির নেতা। তার যুক্তি, সেদিনের বৈঠকের শুরুতেই সোনিয়াজি তার উদ্বোধনী ভাষণে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনি দলের অভ্যন্তরে শৃঙ্খলা চাইছেন। দলের ভেতরের কথা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হোক, তা তিনি চান না। এই বক্তব্য শুনে নেতাদের ভোলবদল। তবে ব্যাখ্যা যাইহোক, বিক্ষুব্ধ নেতারা যে দাবি থেকে সরে আসছেন, তা মানতে নারাজ রাজনৈতিক মহল। তাদের পাল্টা ব্যাখ্যা, বিক্ষুব্ধরা ট্রাম্প কার্ড এখনও শো করেননি। এই নেতাদের পাল্টা পদক্ষেপ কী হবে, কংগ্রেসের অন্দরে এখন সেই প্রশ্নই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।