টিডিএন বাংলা ডেস্ক : বঙ্গে ভোট পর্ব মিটলেও রাজনৈতিক হিংসা কমেনি। এই অভিযোগ বরাবর করে আসছে বিজেপি। এই ইস্যুতে নালিশ জানাতে রাষ্ট্রপতির দরবারেও হাজির হবে বিজেপি প্রতিনিধিরা। কিন্তু যে বিষয়টি নিয়ে এত লঙ্কা কাণ্ড, লোকসভাতে সেই প্রসঙ্গে টু শব্দটি করতে চান না পদ্ম সাংসদরা। যা নিয়ে এত হইচই, দরবার -অভিযোগ, প্রশ্ন তালিকায় ঠাঁই পেল না সেই বিষয়টিই! কেন?
লোকসভার প্রথম পাঁচ দিনের অধিবেশনে প্রশ্ন করার সুযোগ পেয়েছেন বাংলার ৪ বিজেপি সাংসদ। তারা হলেন, লকেট চট্টোপাধ্যায়, জয়ন্ত রায়, রাজু বিস্তা ও সুকান্ত মজুমদার। বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসার বিষয়ে তাদের কোনও প্রশ্ন নেই। যা দেখে ভাবছেন রাজ্যেরই বেশকিছু পদ্ম নেতা। যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা দেখছেন এর পিছনে সূক্ষ্ম একটি পরিকল্পনা। প্রশ্নোত্তর পর্ব নয়, বিজেপি সাংসদরা এই বিষয়ে এই নিয়ে মুখ খুলবেন জিরো আওয়ারে। কারণ লোকসভার অধিবেশনে প্রশ্ন করতে চাইলে তা অনেক দিন আগের জমা দিতে হয়। প্রশ্ন তালিকা জনসমক্ষেই থাকে। ফলে বিরোধী শিবির আগেভাগে প্রস্তুত হয়ে যাবে। সেটা মাথায় রেখেই প্রশ্ন তালিকায় ভোট-পরবর্তী হিংসার প্রসঙ্গ রাখা হয়নি বলে দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের।
এখন প্রশ্ন হলো, আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি রাজ্যের বিষয়। তা নিয়ে লোকসভায় কতটা সরব হওয়া যাবে? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই বলছেন, নিয়মমাফিক রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে লোকসভায় প্রশ্ন করা যায় না। যদিও রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, বাংলাকে দেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী বলা হয়। বর্তমানে তার কী অবস্থা তা সবার জানা দরকার। উল্লেখ্য, রাজ্যের ১৮ জন সাংসদের মধ্যে এবারের লোকসভা অধিবেশনের প্রশ্ন করতে পারবেন ১২ জন সাংসদ। বর্তমানে তাদের মধ্যে চারজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। অধিবেশনে মন্ত্রীদের প্রশ্ন করার সুযোগ থাকে না। তাছাড়া ২ প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং দেবশ্রী চৌধুরীও প্রশ্ন করতে পারবেন না। কারণ বর্ষাকালীন অধিবেশনের জন্য প্রশ্ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ৪ জুলাই। সেই দিন পর্যন্ত তারা দুজনই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন।