দেশ জুড়ে ঘটে চলা সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় চুপ কেন প্রধানমন্ত্রী? শান্তি রক্ষার আবেদন জানিয়ে বিরোধীদের চিঠি মোদীকে

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : দেশ জুড়ে ঘটে চলেছে একের পর এক সাম্প্রদায়িক হিংসা ও সংঘর্ষের ঘটনা। কিন্তু এতদাস্বত্ত্বের নিশ্চুপ আছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার দেশে শান্তি ও সম্প্রীতি বজার রাখার আবেদন জানিয়ে এক‍্যবদ্ধ ভাবে ১৩ টি বিরোধী দল চিঠি লিখলো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন, সোনিয়া গান্ধী, শরদ পাওয়ার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এম কে স্টালিন, তেজস্বী যাদবের মতো বিরোধী দলীয় নেতারা। এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছে কংগ্রেস, তৃণমূল, জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি, সিপিআই(এম), ডিএমকে, আরজেডি সহ অন্যান্য বেশিরভাগ প্রধান বিরোধী দলই। তবে এই তালিকায় নেই শিবসেনা, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি এবং আম আদমি পার্টির মতো প্রথম সারির বিরোধী দল গুলো। কংগ্রেস নেতা সলমান খুরশিদ ট্যুইটে কিছু বিরোধী দলের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

শনিবার ওই যৌথ বিবৃতিতে, বিরোধী দলীয় নেতারা সারা দেশে ঘটে চলা সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী মোদীর নীরবতায় ‘অবাক’ বলে জানিয়েছেন। তাঁদের কথায়, “আমরা প্রধানমন্ত্রীর নীরবতায় মর্মাহত, যারা ধর্মান্ধতা প্রচারকারী এবং যারা সমাজকে উসকানি দেয়। তাদের কথা ও কাজের বিরুদ্ধে কথা বলতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।” তারা অভিযোগ করেন যে, মোদীর নীরবতা অপরাধীদের ‘পৃষ্ঠপোষকতা’র ইঙ্গিত দেয়। তারা বলেন, “এই নীরবতাই প্রমাণ করে যে এই ধরনের সশস্ত্র কাজ সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পায়।”

তারা দাবি জানান, অবিলম্বে সারা দেশে সাম্প্রদায়িক হিংসাকে যারা উস্কানি দিচ্ছেন সেই অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর ব‍্যবস্থা নিতে হবে। তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিও তোলা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁরা জনগণকে শান্ত থাকতে এবং শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে আবেদন করেন। তাঁরা বলেন, “আমরা সব স্তরের মানুষের কাছে শান্তি বজায় রাখার জন্য এবং যারা সাম্প্রদায়িক মেরুকরণকে তীক্ষ্ণ করতে চায় তাদের অশুভ উদ্দেশ্যকে ব্যর্থ করার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। আমরা সারাদেশে আমাদের সমস্ত দলীয় ইউনিটকে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য স্বাধীনভাবে এবং যৌথভাবে কাজ করার আহ্বান জানাই।”

ওই যৌথ আবেদনে লেখা হয়েছে, “আমাদের সমাজে মেরুকরণের জন্য শাসক দলের বিভিন্ন অংশ যেভাবে খাদ্য, পোশাক, আস্থা, উত্সব এবং ভাষা সম্পর্কিত বিষয়গুলি ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যবহার করছে তাতে আমরা অত্যন্ত চিন্তিত ও মর্মাহত।” তারা আরও অভিযোগ করেন, সোশ্যাল মিডিয়া এবং অডিও-ভিজ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মগুলিতে ‘ঘৃণা ও কুসংস্কার’ ছড়ানোর জন্য সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যবহার করা হচ্ছে।
চিঠিতে বলা হয়, “আমরা দেশে ঘৃণাত্মক বক্তব্যের ক্রমবর্ধমান ঘটনাগুলি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এই ব্যক্তিদের মাথায় সরকারের ছাতা রয়েছে বলেই মনে হচ্ছে এবং তাই এদের বিরুদ্ধে কোনও অর্থবহ এবং শক্তিশালী পদক্ষেপ করা হচ্ছে না।”