টিডিএন বাংলা ডেস্ক : পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলি আবার তর্জায় মেতেছে। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল-বিজেপিও একে অপরকে দোষারোপ করছে। বাস্তব পরিস্থিতি কি?
দেশের অনেক রাজ্যেই উপনির্বাচনে বিজেপি হেরে যাওয়ার পর মোদী সরকার পেট্রল-ডিজেলের উপর উৎপাদন শুল্ক বা এক্সাইজ ডিউটি কিছুটা কমিয়েছে। কমানোর পরেও এখন পেট্রলে লিটার প্রতি এক্সাইজ ডিউটি ২৭.৯০ টাকা, ডিজেলে ২১.৮০ টাকা।
এর উপর রাজ্য সরকারের ভ্যাট একেক রাজ্যে একেকরকম। পশ্চিমবঙ্গে লিটার প্রতি পেট্রলে ভ্যাট এখন ২৫ টাকার মতন, ডিজেলে ১৫ টাকার আশে পাশে। কেন্দ্র এবং রাজ্য, দুই সরকারের করের হারই অনেক বেশি — ১০০ টাকা প্রতি লিটার বা তারও বেশি দরে যে আজ পেট্রল-ডিজেল বিক্রি করা হচ্ছে, এই দামের অর্ধেক আসলে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের চাপানো শুল্ক। জ্বালানির মতন একটা নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের উপর এই চরা হারে শুল্ক চাপানো হবে কেন?
আসলে কেন্দ্র সরকার বড় কর্পোরেটদের বিশাল কর ছাড় দিয়ে রাজস্ব আদায়ের বোঝা পেট্রোপণ্যের উপর চাপিয়েছে। রাজ্য সরকারগুলিও চরা হারে ভ্যাট চাপিয়ে রাজস্ব আদায় করে যাচ্ছে। সমস্যার একটাই যথাযথ সমাধান সম্ভব। পেট্রল-ডিজেলকে জিএসটি-র আওতায় নিয়ে এসে কেন্দ্র এবং রাজ্যের শুল্কের হার কমিয়ে দেওয়া।
যদি জিএসটি-র সর্বোচ্চ হার অর্থাৎ ২৮% কর চাপে পেট্রোপণ্যের উপর, তাহলেও পেট্রল-ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ৬৫ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। এটা লক্ষণীয় যে কেন্দ্র বা রাজ্য, কোন সরকারই কিন্তু এই পদক্ষেপ নিতে রাজি নয়। বরং বিজেপি আর তৃণমূল কংগ্রেস একে অন্যের বিরুদ্ধে দোষারোপ করার নাটক করে জনগণকে বোকা বানাচ্ছে।
প্রসেনজিৎ বসু
০৮.১১.২০২১