পথ আটকে কেন প্রতিবাদ? কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে মন্তব্য সুপ্রিমকোর্টের

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : কেন্দ্রের তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন। যা প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লির উপকন্ঠে আন্দোলনে সামিল কৃষকরা।কিন্তু সরকারের সঙ্গে আলোচনায় কোনও রফাসূত্র মেলেনি। আইনের প্রত্যাহারের দাবিতে যে ভাবে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তারা, তাতে অসন্তুষ্ট সুপ্রিম কোর্ট। পথ অবরোধ করে এভাবে আন্দোলনের জন্য বৃহস্পতিবার কৃষকদের ভর্ৎসনা করল শীর্ষ আদালত। বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কৌলের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এদিন বলে, আন্দোলন হতে পারে সংসদীয় বিতর্কের মাধ্যমে। কিন্তু মহাসড়ক অবরোধের মাধ্যমে নয়।

কৃষকদের প্রতিবাদের অধিকার রয়েছে। কিন্তু, সেই প্রতিবাদের জন্য রাস্তার যান চলাচল বন্ধ থাকতে পারে না। এর সমাধান খুঁজতে হবে কেন্দ্র, উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানা সরকারকে। সম্প্রতি এমনই নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। বৃহস্পতিবারও একই কথা বলেছে আদালত। ঘটনা হল, মণিকা আগরওয়াল নামে নয়ডার এক বাসিন্দার রিট আবেদনের শুনানি চলছে আদালতে। তিনি মার্কেটিংয়ের কাজ করেন। কর্মসূত্রে তাঁকে নয়ডা থেকে দিল্লি যেতে হয়। কিন্তু রাস্তা আটকে থাকায় ২০ মিনিটের পথ যেতে ২ ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে। এই ভোগান্তি দুঃস্বপ্নের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর বিহীত চেয়ে শীর্ষ আদালতে মামলা করেন তিনি। এদিন রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত। প্রশ্ন করে, বিচার ব্যবস্থা, বিক্ষোভ বা সংসদীয় আলোচনার মধ্যে দিয়ে আপত্তির কথা রাখা যায়। কিন্তু সড়ক অবরোধ করে কীভাবে এসব হচ্ছে, আর বার বার তা করা হচ্ছে! এর শেষ কোথায়?

বিচারপতি এম এম সুন্দ্রেশ জানতে চান, সরকার রাস্তায় অবরোধ তোলার জন্য কী করছে! তিনি বলেছেন, আমরা আইন বলতে পারি। কীভাবে সেই আইন লাগু হবে তা আপনাদের ব্যাপার। আদালতের কোনও দায় নেই সেই আইন কার্যকর করার। এটা সরকারের কাজ।