HighlightNewsরাজ্য

কোনো আইনি বাঁধা না থাকা সত্ত্বেও কেন শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে না? প্রশ্ন বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়ের

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: কোনো আইনি বাঁধা না থাকা সত্ত্বেও কেন শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে না? এমনই প্রশ্ন তুললেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি একটি মামলার শুনানিতে জানিয়েছেন, প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগে কোনও আইনি নিষেধাজ্ঞা নেই। গত কয়েক দিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ও তৃণমূলের বেশ কয়েকজন অভিযোগ করেছেন যে, তারা শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য প্রস্তুত। কিন্তু আদালতে এই সংক্রান্ত একাধিক মামলা চলার কারণে সেই নিয়োগ সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছেন, শিক্ষক পদে ১৮ হাজার চাকরি তৈরি। কিন্তু হাই কোর্টে মামলা চলছে বলে নিয়োগ করা যাচ্ছে না। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের প্রধান সচিবকে অবিলম্বে কোন বিভাগে কতটি শূন্যপদ আছে তা হলফনামা দিয়ে জানাতে নির্দেশ দেন। সেই হলফনামা দেখেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন এই শূন্যপদ গুলিতে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই।

এদিন বিচারপতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘সংবাদমাধ্যম এবং বিভিন্ন জায়গায় দেখা গিয়েছে, রাজ্যের কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তি বলছেন, আদালতের হস্তক্ষেপের কারণে কোনও নিয়োগ করা যাচ্ছে না। কেন আদালতকে নিয়োগে বাধা হিসাবে দেখানো হচ্ছে? রাজনীতিকে বিচারব্যবস্থার আঙিনায় টেনে আনবেন না। এই সব মন্তব্য আদালত সব সময় সহ্য না-ও করতে পারে। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।’’

উল্লেখ্য যে, রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের পেশ করা হলফনামা অনুযায়ী এই রাজ্যে মাধ্যমিকে মোট শূন্যপদের সংখ্যা ১৩,৮৪২টি। উচ্চ মাধ্যমিকে শূন্যপদের সংখ্যা ৫,৫২৭টি। এছাড়া মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে প্রধানশিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ২,৩২৫টি শূন্যপদ আছে। সব মিলিয়ে শূন্যপদের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ২১ হাজার ৬৯৪টি। তাছাড়াও প্রাথমিকে অনেক শূন্যপদ আছে। যদিও এখনও পর্যন্ত সেভাবে শূন্যপদ নির্ধারন করা হয়নি। তবে প্রাথমিকে আনুমানিক, ৩৯৩৬ সংখ্যক শূন্যপদ আছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

Related Articles

Back to top button
error: