টিডিএন বাংলা ডেস্ক : রামায়ণ এক্সপ্রেসের ওয়েটারদের গায়ে কেন গেরুয়া পোশাক? এই পোশাক পড়ে ওরা যাত্রীদের খাবার-পানীয় দেবে। যা হিন্দু ধর্মের অপমান। এমনই প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীর সাধু-সন্তরা। তাদের দাবি ছিল, এতে সনাতন হিন্দু ধর্মকে অপমান করা হয়। শেষমেষ চাপের মুখে রামায়ণ এক্সপ্রেসের ওয়েটারদের গেরুয়া পোশাক বদলানোর সিদ্ধান্ত নিল রেল।
ওই হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। রেল সিদ্ধান্ত না বদলালে, বড়সড় আন্দোলনের হুমকি দেয় সংগঠনটি। তাদের দাবি, গেরুয়া বস্ত্র পরিধান করে ওয়েটারের কাজ আসলে হিন্দু ধর্মকে অপমান করা হয়। অবিলম্বে পোশাকের রঙ না বদলালে আগামী ১২ ডিসেম্বর দিল্লিতে ট্রেন অবরোধের হুমকি দেয় সংগঠনটি। শেষ পর্যন্ত চাপের মুখে পড়ে ওই এক্সপ্রেসের কর্মীদের পোশাকের রং বদলে ফেলল রেল।
আইআরসিটিসি তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, “রেলের এই সেবা কর্মীদের পেশাগত পোশাক সম্পূর্ণ বদলে ফেলা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরির জন্য আমরা দুঃখিত।” সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, রামায়ণ এক্সপ্রেসের কর্মীদের শার্ট, ট্রাউজার এবং ঐতিহ্যবাহী পাগড়ির রং বদলে ফেলা হয়েছে। তবে তারা এখনও গেরুয়া মাস্ক এবং গ্লাভস পড়তে পারবেন। উজ্জয়িনীর এই হিন্দুত্ববাদী সংগঠনটি প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক অবধেশ পুরী জানান, সাধুদের মত মাথায় পাগড়ি সহ একটি গেরুয়া পোশাক পড়া এবং রুদ্রাক্ষের মালা পরা হিন্দু ধর্মের অপমানের শামিল। রামায়ণ এক্সপ্রেসের ওয়েটাররা ওই পোশাক না ছাড়লে দিল্লির সফদরজং রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন থামিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। অন্যদিকে রেলওয়ে বোর্ডের এক আধিকারিক জানান, এই বিতর্ককে আর বাড়াতে চান না। তাই পোশাক বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।