টিডিএন বাংলা ডেস্ক : লখিমপুরখেরির মামলায় সাক্ষীদের উপযুক্ত নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতে নির্দেশ দিল সুপ্রিমকোর্ট। মামলার শুনানিতে মাত্র ২৩ জনকে প্রত্যক্ষদর্শী হিসাবে পেশ করায় শীর্ষ আদালতের ভৎসর্নার মুখে পড়ছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৮ নভেম্বর।
৩ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে কৃষকরা অবস্থান বিক্ষোভ করছিলেন। সেই সময়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রের কনভয় বিক্ষোভরত কৃষকদের পিষে দিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় চার কৃষকের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার পর যে সংঘর্ষ ঘটে, তাতে দুই বিজেপি কর্মী-সহ আরও চারজন নিহত হন। ওই ঘটনার ২৩জন প্রত্যক্ষদর্শী। যাদের নিরাপত্তার দিকটি সুনিশ্চিত করতে বলল আদালত। প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা-র বেঞ্চের তরফে জানতে চাওয়া হয়, এত কম কেন সাক্ষ্য পেশ করা হয়েছে? জবাবে উত্তরপ্রদেশ সরকার পক্ষের আইনজীবী হরিশ সালভে বলেন, ”৬৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩০ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। ২৩ জন প্রত্যক্ষদর্শী হিসাবে দাবি করেছেন।” এরপরই শীর্ষ আদালতের জানতে চায়, যে সময় ঘটনাটি ঘটে, তখন কমপক্ষে শতাধিক কৃষক উপস্থিত ছিলেন। মাত্র ২৩ জন প্রত্যক্ষদর্শী কীভাবে হয়?” জবাবে আইনজীবী হরিশ সালভে বলেন, ”৩০জন সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে ২৩ জন প্রত্যক্ষদর্শী। বেশ কয়েকজন আবার সাধারণ সাক্ষী। তাই তাদের ১৬৪টি জবানবন্দি নেওয়া হয়নি।” প্রধান বিচারপতি রামানা সালভেকে পাল্টা প্রশ্ন করেন, ”আপনার বা অন্য আর কারও এমন কোনও মামলা আছে, যেখানে শতাধিক কৃষক একটি সমাবেশে রয়েছেন। আর মাত্র ২৩ জন সেখানে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী?”
রাজ্যের কাছে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ঘটনার তদন্তের একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট চেয়েছে। পুলিশকে এই মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত প্রাসঙ্গিক আরও কিছু সাক্ষীর বক্তব্য রেকর্ড করতেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।