যন্তর মন্তরে উপড়ে ফেলা হচ্ছে কুস্তিগীরদের তাঁবু: নতুন সংসদের দিকে যেতে চেয়েছিলেন কুস্তিগীররা, আটক করেছে পুলিশ

ছবি সংগৃহীত

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: রবিবার নতুন সংসদের সামনে মহিলা মহাপঞ্চায়েতে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন দিল্লির যন্তর মন্তরে বিক্ষোভকারী কুস্তিগীররা। তবে, দিল্লি পুলিশ এই মহাপঞ্চায়েতের অনুমতি দেয়নি। কুস্তিগীররা ব্যারিকেডের উপর দিয়ে লাফিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। এরপর, পুলিশ তাঁদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে, যার ফলে কুস্তিগীর এবং পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এর পরে, পুলিশ কুস্তিগীরদের হেফাজতে নেয় এবং পিকেটের জায়গা থেকে তাঁবু এবং চেয়ারগুলি সরিয়ে দেয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে কুস্তিগীর বজরং পুনিয়া বলেছেন, এটা কি ধরনের গণতন্ত্র, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করছি আর আমাদের সঙ্গে এমন আচরণ করা হচ্ছে। আমাদের গুলি কর। পুনিয়া আরো বলেছেন, সাক্ষী মালিককেও হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

মহাপঞ্চায়েতে হরিয়ানা, ইউপি এবং পাঞ্জাব সহ অনেক রাজ্যের কৃষকরা অংশগ্রহণ করবেন। এই মহাপঞ্চায়েত রুখতে দিল্লি পুলিশ সিংগু এবং টিকরি সীমান্তে ব্যারিকেড করেছে। দিল্লির ২টি মেট্রো স্টেশনের সমস্ত প্রবেশ ও প্রস্থানের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সিংগু সীমান্তে একটি স্কুলে অস্থায়ী কারাগার তৈরি করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, মহিলা মহাপঞ্চায়েত অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিকেলে নতুন সংসদের সামনে। কৃষক নেতা কুলদীপ খারর বলেছেন, ব্রিজভূষণকে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত হরিয়ানার সমস্ত টোল মুক্ত করা হয়েছে।

রবিবার সকাল থেকেই কৃষক ও মহিলাদের আটক করা শুরু করেছে হরিয়ানা পুলিশ। হিসার, সোনিপত, পানিপথ, রোহতক, জিন্দ এবং আম্বালায় খাপ প্রতিনিধি এবং কৃষক নেতাদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

আম্বালায় পুলিশের সঙ্গে কৃষকদের সংঘর্ষ বাঁধে। রোহতকের সাম্পলায় পুলিশ জোরপূর্বক মহিলাদের তুলে নিয়ে হেফাজতে নিয়ে যায়। অনেক নেতাকে গৃহবন্দী করা হয়েছে। হরিয়ানার সমস্ত টোল প্লাজায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যারা মহাপঞ্চায়েতের দিকে যাচ্ছেন তাঁদের আটক করা হচ্ছে।

অভিযোগ, আম্বালায় পুলিশের সঙ্গে বিকেইউ শহীদ ভগৎ সিং-এর সদস্যদের সংঘর্ষ হয়। এরপর থেকে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে এই এলাকা। রোহতকে পুলিশি অভিযান চলাকালীন এক মহিলা কৃষক অজ্ঞান হয়ে যান।