HighlightNewsদেশ

পুলিশের সামনেই অতর্কিতে গুলি করে হত্যা আতিক-আশরাফকে, এফআইআর-এ দাবি- নাম কামানোর জন্য আতিক-আশরাফকে হত্যা

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: শনিবার রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে যখন গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছিলেন আতিক। সেইসময়েই খুব কাছ থেকে তাঁর মাথায় গুলি করে আতিককে হত্যা করে তিনি যুবক। প্রথমে আতিককে গুলি করার পর আশরাফের বুকেও গুলি করে ওই যুবকেরা। পুলিশের সামনেই ঘটে গোটা ঘটনা।

শনিবার রাতে প্রয়াগরাজে মাফিয়া আতিক ও তার ভাই আশরাফকে মেডিকেল টেস্টের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। সেইসময়, পাশাপাশি, হাঁটতে গিয়ে আতিক ও আশরাফকে প্রশ্ন করছিলেন সাংবাদিকরা। ঠিক ওই সময়ই অতর্কিতে তিন হামলাকারী যুবক পুলিশের নিরাপত্তার বেষ্টনী ভেঙ্গে আতিককে মাথায় গুলি করে, পরে আশরাফকে লক্ষ্য করেও গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়।

জানা গিয়েছে, হামলাকারীরা সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে এসেছিল। তাদের নাম লাভলেশ তিওয়ারি, সানি এবং অরুণ মৌর্য। হামলার পরপরই তিনজনই আত্মসমর্পণ করে। লাভলেশ বান্দা, অরুণ কাসগঞ্জ ও সানি হামিরপুরের বাসিন্দা। তাদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। কনস্টেবল মানসিংহও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

এফআইআর অনুসারে, তিন হামলাকারী যুবক বলেছে, তারা আতিক-আশরাফকে হত্যা করে উত্তরপ্রদেশে জনপ্রিয় হতে চেয়েছিল। যখন থেকে আদালত তাদের দুজনকে পুলিশি হেফাজত দেয়, তখন থেকেই তারা প্রয়াগরাজে এসে আতিক-আশরাফকে মিডিয়ার লোক বলে পরিচয় দিয়ে হত্যার চেষ্টা করছিল। শনিবার সুযোগ পেতেই তাদের হত্যা করে।

এফআইআর-এ প্রকাশ করা হয়েছে যে শনিবার রাতে আতিক-আশরাফের উপর হামলার সময়, একজন শ্যুটার লাভলেশ তিওয়ারিও গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। হামলাকারীদের গুলিতে আহত হন লাভলেশ। ঘটনার পর উমেশ পালের বাড়ির নিরাপত্তার জন্য প্রায় ১০০ পিএসি-র‍্যাফ এবং পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। স্ত্রী জয়া পাল ও মা শান্তি দেবীকে কারও সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। আতিক-আশরাফের লাশ এখনো হাসপাতালে রয়েছে। সূত্রের খবর, ৫ জন চিকিৎসকের একটি দল দুজনেরই পোস্টমর্টেম করবে। পরিবারের কেউ বা আত্মীয়স্বজন এখনো হাসপাতালে পৌঁছায়নি। শনিবার সন্ধ্যায় মহারাষ্ট্রের নাসিকে অভিযান চালায় ইউপি এসটিএফ।

Related Articles

Back to top button
error: