HighlightNewsদেশ

গীতা প্রেসকে গান্ধী শান্তি পুরস্কার প্রদান নিয়ে বিতর্ক: এটা গডসেকে সম্মান জানানোর মতো, বললেন জয়রাম; রাহুলের উপদেষ্টার কাছ থেকে এটাই প্রত্যাশা, পাল্টা কটাক্ষ বিজেপির

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: কেন্দ্র সরকার গীতা প্রেসকে (গোরখপুর) ২০২১ সালের জন্য গান্ধী শান্তি পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। এই নিয়ে সোমবার কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ টুইট করে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত সাভারকর এবং নাথুরাম গডসেকে সম্মান দেওয়ার মতো।

কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেন, ‘২০২১ সালের জন্য গান্ধী শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে গোরখপুরের গীতা প্রেসকে, যা এই বছর তার ১০০ বছর পূর্ণ করছে। লেখক অক্ষয় মুকুল ২০১৫ সালে গীতা প্রেসে একটি চমৎকার জীবনী লিখেছিলেন, মহাত্মা গান্ধীর সাথে সংগঠনের সম্পর্ক এবং রাজনৈতিক, ধর্মীয় এবং সামাজিক এজেন্ডায় তাঁর সাথে চলমান যুদ্ধের বিশদ বিবরণ দিয়েছিলেন। তাকে এই পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত সত্যিই তামাশা। এটা সাভারকর ও গডসেকে পুরস্কার দেওয়ার মতো’।

জয়রাম রমেশের বক্তব্য নিয়ে বিজেপি সাংসদ ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, এটা রাহুল গান্ধীর উপদেষ্টার বক্তব্য। আপনি তাদের কাছ থেকে আর কি আশা করতে পারেন? এই লোকেরা রাম মন্দির নির্মাণে বাধা সৃষ্টি করেছে। তিন তালাক আইনের বিরোধিতা করেছেন। এর চেয়ে লজ্জার আর কি হতে পারে। গোটা দেশের উচিত তাদের বিরোধিতা করা। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেন, গীতা প্রেস ভারতের সংস্কৃতি এবং হিন্দু বিশ্বাসের সঙ্গে জড়িত। যারা মুসলিম লীগকে ধর্মনিরপেক্ষ বলতেন তারাই অভিযোগ করছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টুইট করে বলেন, ভারতের গৌরবময় প্রাচীন সনাতন সংস্কৃতি এবং ধর্মগ্রন্থগুলি যদি আজ সহজেই পড়া যায়, তবে এটি গীতা প্রেসের অতুলনীয় অবদানের কারণে। গীতা প্রেসকে গান্ধী শান্তি পুরস্কার ২০২১ প্রদান করা হচ্ছে এর দ্বারা করা কাজের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে।

Related Articles

Back to top button
error: