HighlightNewsদেশ

ধর্মান্ধ রাজা নয় স্বাধীণতা সংগ্রামী শহীদ টিপু সুলতান ছিলেন সম্প্রীতির উজ্বল প্রতীক 

সব্যসাচী গোস্বামী, টিডিএন বাংলা : ১৭৯১ সালের এক ঘটনা। শ্রীঙ্গেরি মঠে হানা দিয়েছিল মারাঠা বাহিনী। হানাদার বাহিনীর সেনানায়ক ছিলেন রঘুনাথ রাও পট্টবর্ধন। দূরন্ত মারাঠা সেনাদের লক্ষ্য ছিল মঠের সম্পদ। যথারীতি চোখের নিমেষে পর্যুদস্ত হয়ে যায় শ্রীঙ্গেরি মঠ। একাধিক ব্রাহ্মণ সেদিন হত্যা হয়েছিল মারাঠা বাহিনীর হাতে। মঠস্বামী শংকরাচার্য সেদিন মঠ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন। মন্দিরের সারদা দেবীর বিগ্রহ ভূলুন্ঠিত হয়েছিল। পরবর্তীতে এই মঠ পুনর্নিমাণে এগিয়ে এসেছিলেন রাজা টিপু সুলতান। তিনি মন্দির পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য অর্থ, শষ্য দিয়ে সাহায্য করেই ক্ষান্ত থাকেননি উপরন্তু পাঠিয়ে দেন বিগ্রহের জন্য অঙ্গবস্ত্র, মঠস্বামীর জন্য একজোড়া শাল। শ্রীঙ্গেরির মঠস্বামী শংকরাচার্যের জন্য তিনি এমনকি মারাঠা হানাদারদের হাত থেকে সুরক্ষার জন্য একজন বন্দুকধারী দেহরক্ষীও নিযুক্ত করেন।

মঠস্বামীর সাথে টিপু সুলতানের পত্রগুচ্ছ (কর্ণাটক সরকারের আর্কিওলজি দপ্তর থেকে প্রাপ্ত) থেকেই এসব কথা জানা গেছে। বলা বাহুল্য শ্রীঙ্গেরি মঠস্বামী শংকরাচার্যের সাথে টিপুর পরবর্তীতেও যোগাযোগ শুধু অক্ষুন্নই ছিল না টিপু তাকে “জগদগুরু” বলে অভিহিত করছেন, আর শঙ্গরাচার্য তাঁকে বলেছিলেন ‘হিন্দুদের রক্ষা কর্তা’। এছাড়াও শ্রিকান্তেশ্বর মন্দিরের জন্য তিনি অর্থ সাহায্য করেন এবং কাঞ্চির মন্দির গড়তে তিনি ১০ হাজার স্বর্ণমুদ্রা দান করেন। শুধু তাই নয়, মেলকোট মন্দিরের দু’দল পুরোহিতের মধ্যে বিবাদ তিনিই নিষ্পত্তি করেছিলেন। এবং লক্ষ্মীকান্ত মন্দিরেও প্রচুর উপহার সামগ্রী পাঠিয়েছিলেন। শুধু হিন্দু মন্দিরই নয় মহিশুরের প্রথম গীর্জাটিও তিনি নির্মাণ করেছিলেন।

 

বাস্তবতঃ সূফি মতাদর্শের চিস্তি / বন্দে নওয়াজ ঘরানার অনুগামী পরিবারের সন্তান টিপু ছিলেন একজন প্রকৃত অর্থেই ধর্মনিরপেক্ষ, উদারমনস্ক ও প্রজাপরায়ন রাজা। যিনি দক্ষিন ভারতের অন্তত ১৫৬ টি মন্দিরে নানারকম সাহায্য সহযোগীতা করেছেন আজীবন। বিশেষতঃ তাঁর শ্রীরঙ্গপত্তনম দূর্গের কাছেই যে শ্রীরঙ্গনাথস্বামীর মন্দিরটি আছে, সেই মন্দিরে তিনি অকুণ্ঠ সহযোগীতা করেছেন। বলাবাহুল্য শ্রীরঙ্গপত্তনম হচ্ছে এমন এক শহর যা বস্তুত এক মন্দিরের শহর, কিন্তু এমন একটি শহরকেই তিনি আজীবন তার রাজ্যের রাজধানী হিসাবে ব্যবহার করেছেন।

তিনি শুধু সর্ব ধর্মকে সম্মানকারী রাজাই ছিলেন না, ছিলেন দেশপ্রেমিক, দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ও প্রজাবৎসল। তাঁর সেনাবাহিনীর অধিকাংশই ছিলেন জাতিগতভাবে শুদ্র। বস্তুতঃ তিনিই প্রথম এদেশে ভ্রুনাকারে হলেও পুঁজিবাদী উৎপাদন সম্পর্কের সূচনা করেছিলেন। তিনি উচ্চবর্ণের হিন্দু জমিদারদের জমি দখল করে নিম্নবর্ণের মানুষদের মধ্যে বিলি বন্টন করে এক ভূমি সংস্কারের সূচনা করেছিলেন। এদেশে হিন্দুত্বের ঠিকাদাররা যেহেতু বস্তুত সমগ্র হিন্দু ধর্মাবলম্বিদের নয়, উচ্চবর্ণের প্রতিনিধি তাই উচ্চবর্ণের জমিদারদের এই জমি দখল কর্মসূচীকে দেখিয়ে টিপুকে একজন ধর্মান্ধ রাজা হিসাবে চিহ্নিত করে থাকে। টিপু তার রাজত্বে প্রথমে মদ বিক্রি নিষিদ্ধ হয়েছিল, কিন্তু মনে রাখতে হবে কোনও ধর্মীয় কারণে নয়, স্বাস্থ্যের প্রয়োজনে তিনি এই কাজটি করেছিলেন। এছাড়াও এদেশে প্রথম ক্ষেপনাস্ত্র প্রযুক্তির ব্যবহার তিনিই করেছিলেন। যখন দেশজুড়ে সামন্ততন্ত্রের রমরমা তখন ভূমিসংস্কারের পাশাপাশি তিনি কৃষির বিকাশের স্বার্থে কাবেরী নদীতে বাঁধ নির্মাণ করার কথা ভেবেছিলেন। তার রাজধানীতেই তিনি জলসেচের জন্য অন্ততঃ ৩৯ হাজার পুকুর এবং ১৬ হাজার কুয়ো খনন করেছিলেন। এবং তাঁর রাজধানীতে বসবাসকারী ৫ লক্ষ কৃষকের হাতে সরাসরি জমি তুলে দিয়েছিলেন টিপু। লুইস রাইসের মতো সাম্রাজ্যবাদী প্রশাসকও পর্যন্ত স্বীকার করেছিলেন যে টিপুর রাজত্বের ৩৫ শতাংশ কৃষি জমি জলসেচের আওতাভুক্ত হয়েছিল।

এছাড়াও তিনি লালবাগ নামে একটি জৈব বৈচিত্রময় বাগান তৈরি করেছিলেন। তিনিই প্রথম মহিশুরে রেশম চাষেরও প্রবর্ত্তন করেন। সেকালেই তিনি বানিজ্যিক চাষের ভাবনা থেকে কৃষককে তুত, আখ, কলা ইত্যাদীর মতো বানিজ্যিক ফসল উৎপাদনে উৎসাহিত করেছেন। শুধু তাই নয় কৃষিকে বানিজ্যিক অভিমুখে দেওয়ার উদ্যোগ থেকে তিনি কৃষি করও নিতেন ফসলে নয়, নগদ মুদ্রায়। তিনি তার রাজধানীতে ২৮ টা এবং বাইরে করাচি, বালুচিস্তানের মতো জায়গায় ১৮ টা বানিজ্যিক গুদাম নির্মাণ করেন। এছাড়াও সামুদ্রিক পথে বানিজ্যের জন্য তার রাজ্যে ১০০ টা বানিজ্যিক জাহাজ মজুত ছিল। ঐতিহাসিক সি কে করিম বলছেন যে “আঠারো শতকে দক্ষিনে টিপু সুলতান ছিলেন একজন মহান সরক নির্মাতা।” তিনি একটি লাইব্রেরি তৈরি করেছিলেন যে লাইব্রেরিতে অংক, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীব বিদ্যা, চিকিৎসা বিজ্ঞান, পশু প্রতিপালন এবং সমর বিজ্ঞানের উপর নানা দুর্মূল্য গ্রন্থ ছিল।

 

টিপু সুলতান ছিলেন একজন সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী দেশপ্রেমিক রাজা, যিনি ফরাসি বিপ্লব, আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং জ্যাকোবিন আন্দোলনের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন। তিনি আফাগানিস্তান, অটোম্যান তুর্কি এবং ফ্রান্সে নিজের দূত প্রেরণ করেছিলেন। বিশেষতঃ তিনি ১৭৯৮ সালে ফ্রান্সে দূত পাঠিয়েছিলেন বাস্প চালিত ইঞ্জিনের প্রযুক্তি এ দেশে নিয়ে আসার জন্য। এছাড়াও এই দেশগুলোতে দূত প্রেরনের পিছনে তার রাজনৈতিক লক্ষ্য ছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে একটা আন্তর্জাতিক জোট তৈরি করা। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে তিনি আজীবন আপোষহীন সংগ্রাম চালান এবং দ্বিতীয় ইঙ্গো- মহিশুর যুদ্ধে তিনি ব্রিটিশ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীকে পর্যুদস্ত করেন। চতুর্থ ইঙ্গো-মহিশুর যুদ্ধে ব্রিটিশ শক্তির বিরুদ্ধে নিজের দূর্গ দখল করার লড়াইয়ে তিনি পরাজিত ও শহিদ হন। মনে রাখতে হবে একা ব্রিটিশের পক্ষে এই যুদ্ধে জেতা সম্ভব হতো না যদি মারাঠা বাহিনী ও হায়দ্রাবাদের নিজাম ব্রিটিশ শক্তিকে সহায়তা না করত।

 

ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিররুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রামী যোদ্ধা টিপু সুলতানকে একজন ধর্মবিদ্বেষি, নিষ্ঠুর রাজা হিসাবে প্রতিপন্ন করা ছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের এক হীন চক্রান্ত। এ কাজে মূলতঃ তিনজন ব্রিটিশ সরকারের মাহিনা পাওয়া ইতিহাসবিদ মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন তারা হলেন আলেকজান্দার বিটসন, উইলিয়াম কার্কপ্যাট্রিক, এবং মার্ক উইল্কস। টিপুকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ এতোটাই ঘৃনা করত যে টিপুর মৃত্যুর খবর পেয়ে ভারতে নিযুক্ত গবর্নর জেনারেল রিচার্ড ওয়েলেসলি বলেছিলেনঃ তিনি ভারতের শবদেহের ওপর দাঁড়িয়ে মদ খাচ্ছেন! টিপু সুলতানের মৃত্যুশতবর্ষ উদযাপনের সময় ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে মহীশূর দরবারের রাজপ্রতিনিধি হিসেবে ব্রিটেনের মহারানি এই দিনটিকে টিপুর ‘আত্মবলিদান দিবস’ হিসেবে পালন না-করে বরং ‘হিন্দুরাজ পুনঃপ্রতিষ্ঠা’-র দিন হিসেবে পালন করার প্রস্তাব রেখেছিলেন!

সম্প্রতি কর্ণাটক রাজ্য সরকার যখন টিপু সুলতানের জন্ম জয়ন্তী পালনে তৎপর হয়েছেন তখন কেন্দ্রীয় দক্ষতা বিকাশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অনন্তকুমার হেগড়ে একটি টুইটে জানিয়েছেন, ‘আমি কর্নাটক সরকারকে বলে দিয়েছি, এক জন বর্বর হত্যাকারী, উন্মাদ এবং ধর্ষকের মহিমা প্রচারের লজ্জাজনক অনুষ্ঠানে তারা যেন আমাকে আমন্ত্রণ না করে’।

শুধু অনন্ত কুমার হেগড়েই নন এদেশের আরএসএস মার্কা হিন্দুত্ববাদীরা বরাবরই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের অনুসৃত বিকৃত ইতিহাস চর্চ্চাকে অনুসরণ করেই ইতিহাসের বিকৃতিকরণ ঘটিয়ে চলেছে। শুধু টিপু সুলতানই নয় আরো বিভিন্ন মুসলিম শাসকের ক্ষেত্রেও তারা ইতিহাস বিকৃতি ঘটিয়েছেন। যদিও ‘সেকুলার’ রাষ্ট্রের ধারনা এ দেশে এসেছে অনেক পরে তথাপি ইতিহাসে যে সমস্ত মুসলিম শাসককে সাম্প্রদায়িক, ধর্মান্ধ, হিন্দুবিদ্বেষি দেখানো হয়েছে প্রকৃত ইতিহাসের সাথে তার বিস্তর ব্যবধান রয়েছে। একথা ভুললে চলবে না, মুঘল আমলেই প্রথম হিন্দু ব্রাহ্মণ, জৈন ও বৌদ্ধদের ধর্মীয় ভাবাবেগকে মাথায় রেখে গো-মাংস খাওয়ার উপর বিধি নিষেধ চালু হয়েছিল। যে ঔরঙ্গজেবকে একজন ধর্মান্ধ শাসক হিসাবে দেখানো হয়, তিনি কিন্তু ধর্মীয় সহিষ্ণুতার অনেক নির্দশন রেখেছেন, যা হিন্দুত্ববাদী ইতিহাসবিদরা সুকৌশলে চেপে যান।

উত্তর ভারতের বিভিন্ন হিন্দু মন্দিরের সংগ্রহশালা ঘেঁটে ঔরঙ্গজেবের বিভিন্ন ফরমান এবং মন্দিরের নানা দলিল দস্তাবেজ উদ্ধার করে ইতিহাসবিদ বি এন পান্ডে ‘ইসলাম এন্ড ইন্ডিয়ান সিভিলাইজেশান’ নামক একটি বই লেখেন যেখানে তিনি দেখান উজ্জ্বয়নির মহাকালেশ্বর মন্দির, চিত্রকূটের বালাজি মন্দির, গৌহাটির উমানন্দ মন্দির, শত্রুঞ্জয়ীর জৈন মন্দির এবং অসংখ্য গুরুদ্বারে ঔরঙ্গজেব অর্থ ও জমি দিয়ে সাহায্য করেছিলেন। অনেকেই হয়ত জানেন না, পশ্চিমবঙ্গের তারকেশ্বরের মন্দিরের জমিটিও ঔরঙ্গজেবের দান করা। হিন্দুদের কাছ থেকে তিনি জিজিয়া কর নিতেন, এটা যেমন সত্যি পাশাপাশি এটাও সত্যি যে ঔরঙজেবের রাজত্বের অনেক আগে থেকে, এমনকি হিন্দু রাজাদেরও, প্রায় চারশ বছর ধরে হিন্দুরা জিজিয়া কর দিয়ে গেছেন। পাশাপাশি টিপুর রাজত্বে মুসলিমদেরও তীর্থ কর হিসাবে জাকৎ দিতে হতো। তাছারা তিনি হিন্দু বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, শিশু ও নারীকে জিজিয়া করের হাত থেকে রেহাই দিয়েছিলেন।

বস্তুত পক্ষে ঔরঙ্গজেব থেকে টিপু সুলতান – প্রত্যেকেই ব্রিটিশের সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থের প্রতিনিধি ইতাহাসবিদ এবং তাদের দোসর হিন্দুত্ববাদী ঐতিহাসিকদের ইতিহাসের গৈরিকিকরণের শিকার। তাদের প্রকৃত মূল্যায়ন সাম্রাজ্যবাদীদের স্বার্থবাহী ইতিহাস বইয়ে করা হয়নি, আজো আমরা সেই ঔপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থাকেই বহন করছি। তাই, কর্ণাটক সরকার টিপু সুলতানের জন্মজয়ন্তী পালনে তৎপরতায় কিংবা গিরিশ কারনাডের মতো মননশীল নাট্য পরিচালক ও অভিনেতার বেঙালুরু ইন্টার ন্যশানাল এয়ারপোর্টের নাম টিপু সুলতানের নামে নামাঙ্কিত করার দাবী তোলায় বা সম্প্রতি কর্নাটক সরকারের টিপু জন্মজয়ন্তী পালনের উদ্যোগে, হিন্দুত্ববাদী সংঘ পরিবারের অপপ্রচার অত্যন্ত দূর্ভাগ্যজনক হলেও প্রত্যাশিত।

আজ ক্ষমতায় আসীন সংঘ পরিবার পক্ষ থেকে ক্রমাগত প্রচার করা হচ্ছে যে টিপু সুলতান ছিলেন একজন “নিষ্ঠুর’ ‘ধর্মান্ধ’ শাসক। এই হিন্দুত্বের ফেরিয়ালারা যে তাদের সাম্রাজ্যবাদী প্রভুদের পদলেহন করতে কতটা ব্যগ্র মোদি সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপের মধ্যে দিয়ে যেমন তা পরিস্কার হচ্ছে, পাশাপাশি হিন্দুত্ববাদীদের কট্টর কার্যকলাপ দিয়েও তা বারবার প্রমান হচ্ছে। এরা মিথ্যা প্রচারে এতটাই স্থুল যে অপ-প্রচারের সময় তাঁদের কোনও সময় জ্ঞানও থাকে না। যেমন মহিশুরের জনৈক হিন্দুত্ববাদী নেতা দাবী করেছেন যে টিপু সুলতান নাকি আহমেদ শাহ আবদালির ভারত আক্রমনে প্ররোচনা দিয়েছিলেন। বস্তুত আহমেদ শাহ আবদালি প্রথম ভারত আক্রমন করেন ১৭৪৮ খ্রীষ্টাব্দে, টিপু জন্ম গ্রহন করেন ঠিক তার দু’বছর পর, ১৭৫০ খ্রিস্টাব্দের ১০ নভেম্বর। মন্তব্য নিস্প্রোজন!

তথ্য সূত্রঃ

টিপু সুলতান ক্যান নট বি রিডিউস ট এ সিঙ্গুলার ন্যরেটিভ অর ট্র্যডিশান অব ইনটলারেন্স অব বিগেট্রি এজ হি রিপ্রেসেন্টেড মাল্টিপল্‌ ট্র্যাডিশান – মুজাফফর আসাদি

টিপু সুলতানের হাসি, আরএসএস … শুভময়, গণশক্তি ১২ ই ডিসেম্বর ২০১৫

কমেমরেটিং টু হান্ড্রেড ইয়িয়ারস অফ টিপু সুলতান

“আই উড র‍্যাদার লিভ টু ডেজ লাইক এ টাইগার, দ্যান টু হান্ড্রেড ইয়ারস লাইক এ শিপ” পিপলস্‌ মার্চ

ইতিহাস, টিপু সুলতান ও হিন্দুত্ববাদীরা, অশোক চট্টোপাধ্যায়

ইসলাম এন্ড ইন্ডিয়ান সিভিলাইজেশান, বি এন পান্ডে

(লেখকের মন্তব্য একান্তই ব্যাক্তিগত। এই লেখার দায় কোনও ভাবেই টিডিএন বাংলা কর্তৃপক্ষের নয়)

Related Articles

Back to top button
error: