টিডিএন বাংলা ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের রহস্য মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরগরম রাজ্য–রাজনীতি। এবার সেই বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর তার সেই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করলেন কংগ্রেস ও সিপিআইএমের নেতারা। দিলীপ ঘোষ বলেন, “এমন বিশৃঙ্খলা চলা উচিত কি? যেখানে এই রকমের সন্ত্রাসবাদী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, সমাজবিরোধী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, আমরা বুট দিয়ে থেঁতলে দিয়েছি। যান জেএনইউ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে দেখে আসুন। ওখানেও আজাদি আজাদি করা হতো। সবাইকে আজাদ করে দেওয়া হয়েছে। আজ ওখানে লেনিন, মাও সে তুং নেই। বিবেকানন্দের মূর্তি দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই সরকার যেদিন যাবে, সেদিন যাদবপুরে বিবেকানন্দের স্ট্যাচু আর ভারত মাতাজির জয় স্লোগান হবে। কাশ্মীর ঠান্ডা করে দিয়েছি, কোথায় যাদবপুর!”
তিনি আরও বলেন, “কোনও মূল্যে এদের ক্ষমা নেই। যেখানেই সমাজবিরোধীরা মাথা চাড়া দিয়েছে, মাথা বুট দিয়ে কুচলে দিয়েছি। বুটের লাথি মেরে জেএনইউ ঠান্ডা করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ কী জন্য আছে? শুধু ঘুষ নেওয়ার জন্য? কেন পুলিশ লেজ গুটিয়ে বসে আছে? বাবা–মা স্বপ্ন নিয়ে ছেলেমেয়েকে পড়াশোনা করতে পাঠান। সেখানে এমন ঘটনা।” এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের সমালোচনা করে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “দিলীপবাবু মনকষ্টে ভুগছেন। দলের সর্বভারতীয় সহ–সভাপতির পদ চলে গিয়েছে। দলে তাঁর গুরুত্ব বাড়াতে অন্তসারশূন্য কথাবার্তা বলছেন।” অন্যদিকে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “উনি বলেছেন জেএনইউ–কে বুটের লাথি দিয়ে আমরা সিধে করেছি। এটা একটা সাংঘাতিক স্বীকারোক্তি।”